জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, আমরা শুনতে পেরেছি, যারা এনসিপিতে যোগ দিতে চায়, যারা এনসিপি করতে চায় স্থানীয়ভাবে তাদের ভয়-ভীতি দেখানো হচ্ছে। তাদেরকে প্রশাসনও সহযোগিতা করে৷
শুক্রবার (২৫ জুলাই) সুনামগঞ্জ শহরের আলফাত স্কয়ারে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে আয়োজিত পথসভায় তিনি এই অভিযোগ করেন। তিনি দলকে তৃণমূল পর্যায়ে সুসংগঠিত করার ওপর জোর দেন, যা এনসিপিকে শক্তিশালী করবে বলে মত প্রকাশ করেন।
হাসনাত আব্দুল্লাহ প্রশাসনের একাংশের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, “যে পাচাটা প্রশাসন রয়েছে, আমরা তাদের দেখেছি বিভিন্ন সময়ে তাদের নিরপেক্ষ ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।” তার মতে, প্রশাসনের মধ্যে একটি অংশ নিরপেক্ষ প্রশাসন গড়তে চাইলেও, একটি সুবিধাভোগী ও “তেলবাজ” অংশ কখনোই নিরপেক্ষ প্রশাসন চায় না। এই বিতর্কিত ভূমিকার কারণে প্রশাসনের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সুনামগঞ্জের উন্নয়নের অভাব নিয়েও হাসনাত আব্দুল্লাহ হতাশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “সুনামগঞ্জে কর্মসংস্থানের অভাব রয়েছে। রাজা আসে রাজা যায়, সরকার আসে, সরকার যায় কিন্তু সুনামগঞ্জের পরিবর্তন হয় না।” এই অবস্থার পরিবর্তনে জনগণের সংঘবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। তিনি বিশ্বাস করেন, এনসিপির মাধ্যমে জনগণের লড়াই-সংগ্রাম আগামীতে বাস্তবায়িত হবে।
পথসভার আগে নেতৃবৃন্দ শহরের কেন্দ্রীয় মসজিদে নামাজ আদায় শেষে পদযাত্রা করে আলফাত স্কয়ারে আসেন। পথসভায় হাসনাত আব্দুল্লাহ ছাড়াও এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, যুগ্ম আহ্বায়ক অনিক রায়, যুগ্ম আহ্বায়ক এহতেশামুল হক, যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা, মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, সিনিয়র মুখ্য সংগঠক সাদিয়া ফারজানা দিনা, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমীন, যুগ্ম সদস্য সচিব জয়নাল আবেদীন শিশির, এবং মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দিন পাটোয়ারীসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
