হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বাংলাদেশের প্রধান এবং সবচেয়ে ব্যস্ততম বিমানবন্দর হিসেবে প্রতিদিন লক্ষাধিক মানুষের পদচারণায় মুখর থাকে। আধুনিক সুযোগ-সুবিধার সংযোজন এবং দৃষ্টিনন্দন অভ্যন্তরীণ নকশার মাধ্যমে এটি প্রতিনিয়ত উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তবে এই উন্নয়নের মাঝেও একটি বড় সমস্যার সমাধান এখনো অধরা রয়ে গেছে—যাত্রীদের স্বজনদের জন্য ওয়াশরুমের সীমিত সুবিধা বা সংকট।
বিমানবন্দরে যাত্রীদের স্বজনদের ব্যবহারের জন্য মাত্র একটি ওয়াশরুম রয়েছে, যা দৈনন্দিন চাহিদার তুলনায় একেবারেই অপর্যাপ্ত। আন্তর্জাতিক মানের একটি বিমানবন্দরে এই সীমাবদ্ধতা শুধু অপ্রত্যাশিত নয়, বরং অসম্মানজনকও। এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে লাইনে অপেক্ষা করতে বাধ্য হওয়া ব্যক্তিদের জন্য এটি একটি মানসিক এবং শারীরিক ভোগান্তি তৈরি করে। বিশেষ করে, প্রবীণ ব্যক্তি, শিশু এবং নারীদের জন্য এই পরিস্থিতি অত্যন্ত অস্বস্তিকর।
যদিও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিমানবন্দরে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন এবং সেবা মান বৃদ্ধির উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, তবে যাত্রীদের স্বজনদের জন্য প্রয়োজনীয় মৌলিক সেবা উন্নত করার বিষয়টি যথেষ্ট উপেক্ষিত রয়ে গেছে।
একদিকে, আধুনিক চেক-ইন কিয়স্ক এবং ডিজিটাল সাইনেজের মাধ্যমে প্রযুক্তির ছোঁয়া দেওয়া হলেও অন্যদিকে প্রাথমিক সুবিধাসমূহে এ ধরনের অব্যবস্থা ব্যবস্থাপনার দুর্বলতাকে প্রকাশ করে।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ ও যাত্রীদের স্বজনদের জন্য কয়েকটি নতুন ওয়াশরুম সংযোজন এবং সেগুলো ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় স্থাপন করার পরামর্শ দিয়েছেন অনেকে।
এছাড়া, নিয়মিত পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে এসব ওয়াশরুমকে মানসম্মত রাখাও জরুরি। আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দরের ক্ষেত্রে এটি একটি অত্যাবশ্যক চাহিদা।
দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু এমন মৌলিক সমস্যাগুলো আন্তর্জাতিক যাত্রীদের কাছে দেশের সেবার মান নিয়ে প্রশ্ন তোলে। যাত্রীদের স্বজনদের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করা শুধু তাদের অভিজ্ঞতাকে উন্নত করবে না, বরং দেশের সম্মানও বৃদ্ধি করবে বলে দাবি ভুক্তভোগীদের।