বুধবার ২০ আগস্ট, ২০২৫

যতই চ্যালেঞ্জিং হোক, সুস্থ সবল প্রজন্ম গড়ে তুলতেই হবে: প্রধান উপদেষ্টা

রাইজিং ডেস্ক

Rising Cumilla - Muhammad Yunus
প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি : সংগৃহীত

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, যেকোনো পরিস্থিতিতেই হোক এবং যতোই চ্যালেঞ্জিং হোক, আমাদের সুস্থ সবল প্রজন্ম গড়ে তুলতেই হবে।

বুধবার (২০ আগস্ট) সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ এবং বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আয়োজিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য ‘যৌথ ঘোষণাপত্র’ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, স্বাস্থ্য খাতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে এ আয়োজন। জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য দক্ষ ও কর্মক্ষম মানবসম্পদ প্রয়োজন। কিন্তু অসংক্রামক রোগ বেড়ে যাওয়ায় তা এখন একটি বড় চ্যালেঞ্জে পরিণত হয়েছে।

তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের ভৌগোলিক ও আর্থসামাজিক বাস্তবতায় ছোট এলাকায় বিপুল জনগোষ্ঠীর বসবাস এ সংকটকে আরও তীব্র করছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০২২ সালের প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরে তিনি জানান, দেশে মোট মৃত্যুর ৭১ শতাংশ ঘটে অসংক্রামক রোগে এবং এর মধ্যে অকালমৃত্যুর হারও আশঙ্কাজনক।

‌অসংক্রামক রোগ হলে মানুষ উচ্চ চিকিৎসা ব্যয়ের মুখোমুখি হতে বাধ্য হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, কোনো ব্যক্তির ক্যান্সার হলে তার পরিবারকে আর্থিক ক্ষমতার সর্বোচ্চ প্রয়োগ করতে হয় এবং প্রায় ক্ষেত্রেই সহায়হীন-সম্বলহীন হয়ে পড়ে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিদেশ থেকে অতি উচ্চ মূল্যে চিকিৎসা নেওয়ারও প্রয়োজন হয়। আমাদের বিপুল অঙ্কের টাকা চলে যায় বিদেশে, এ সব রোগের চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে।

তিনি আরও বলেন, অসংক্রামক রোগের চিকিৎসা ব্যবস্থা যেমন উন্নত করা প্রয়োজন, তেমনি এসব রোগের প্রকোপ কমাতে বা প্রতিরোধ করতে উপযুক্ত জনসচেতনতা ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গড়ে তোলা জরুরি। স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের একার পক্ষে এ কাজ সম্ভব নয়। এজন্য সব মন্ত্রণালয়ের সমন্বিত সহযোগিতা দরকার। খাদ্য, কৃষি, শিক্ষা, ক্রীড়া, স্থানীয় সরকার, গণপূর্তসহ প্রতিটি খাতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। প্রতিটি খাত থেকেই প্রয়োজন সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা ও নিবিড় উদ্যোগ।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, যৌথ ঘোষণাপত্র বাস্তবায়নে বহুমুখী সমন্বয় ও আন্তঃমন্ত্রণালয় সহযোগিতার মাধ্যমে অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে।

আরও পড়ুন