চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেনের পরিমাণ এ যাবৎকালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেকর্ড স্পর্শ করেছে। গতকাল বুধবার (২০ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংক প্রকাশিত হালনাগাদ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই মাসে মোট ১ লাখ ২৯ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় করে দেখা গেছে, মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেন বৃদ্ধির সাথে সাথে গ্রাহক সংখ্যাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে বিকাশ, নগদ, রকেট, ইউক্যাশ, মাই ক্যাশ, শিওর ক্যাশসহ ১৩টি প্রতিষ্ঠান মোবাইল আর্থিক সেবা (এমএফএস) প্রদান করছে। ২০২৪ সালের জুন মাস শেষে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিবন্ধিত গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১ কোটি ৯১ লাখ ৭৩ হাজার।
নিবন্ধিত গ্রাহকদের মধ্যে পুরুষ গ্রাহক ১২ কোটি ৭১ লাখ ৮১ হাজার এবং নারী গ্রাহক ৯ কোটি ১৩ লাখ ৭৯ হাজার। একই সময়ে মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৩৯ হাজার ৩২১টিতে।
মোবাইলে আর্থিক সেবায় (এমএফএস) জানুয়ারি মাসে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে পাঠানো হয়েছে ৪০ হাজার ২২৮ কোটি টাকা আর উত্তোলন হয়েছে ৩৭ হাজার ৪০৪ কোটি টাকা। এসময় ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি হিসাবে ৩৫ হাজার ২৭৬ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। এর আগে একক মাসে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছিল গত বছরের জুনে ১ লাখ ৩২ হাজার ১৭৫ কোটি টাকা।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতা বাবদ বিতরণ হয় ৪ হাজার ৩৪ কোটি টাকা। এছাড়া বিভিন্ন পরিষেবার ২ হাজার ৭৫৬ কোটি টাকার বিল পরিশোধ হয় এবং কেনাকাটায় ৫ হাজার ৭৬৯ কোটি টাকা লেনদেন হয়। এছাড়া ৫৯৩ কোটি টাকার প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স এসেছে।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করে। এরপর ২০১১ সালের ৩১ মার্চ বেসরকারি খাতের ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালুর মাধ্যমে দেশে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে মোবাইল ব্যাংকিং সেবার বাজারে বিকাশের অবস্থান শীর্ষে, এরপরই রয়েছে ‘নগদ’।
