কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের একজন মানবিক এবং করোনা যোদ্ধা সফল ইউপি সদস্য মিঠু মিয়া।

অনেক বাধা ও প্রতিবন্ধকতা ডিঙিয়ে একজন সফল ব্যক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত তিনি। তাঁর পরিশ্রম, সাহস, ইচ্ছাশক্তি, একাগ্রতা আর প্রতিভার সমন্বয়ে সাধারণ মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী ইউপি সদস্য হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই এলাকার উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রেখে সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছেন।

এলাকার হতদরিদ্র মানুষের উন্নয়নে তাঁর নিরন্তর প্রয়াস সব মহলেই প্রশংসা কুঁড়িয়েছে। রাস্তা ঘাটের উন্নয়ন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবায় বিশেষ অবদান, সামাজিক উন্নয়নসহ বিভিন্ন প্রকল্পের বাস্তবায়নে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে এলাকায় নিজের মুখ উজ্জ্বল করেছেন।

ব্যক্তি জীবনে তিনি অত্যন্ত সৎ ও সময়নিষ্ঠ সদা হাস্যোজ্জ্বল ও সাদা মনের মানুষ। তাঁর মাঝে কোনো অহংকার নেই। নিরহংকার এই মানুষটি দলমত নির্বিশেষে সকলের কাছে প্রিয়। সর্বোপরি কাজ করছেন সাধারণ মানুষের কল্যাণের জন্য।

এলাকায় তিনি একজন সাদা মনের উদার মানসিকতার মানুষ হিসেবে ইতিমধ্যে পরিচিতি লাভ করেছেন। সকল দুঃখ দুর্দশায় তাঁকে সহজেই পাশে পাওয়া যায়। এলাকার গরীব দুঃখী মানুষের পাশে থেকে তিনি সব সময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।

সর্বোপরি গরীব মেহনতি মানুষের প্রকৃত জনদরদি হিসেবে তিনি এলাকায় ব্যাপক পরিচিত ও জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পারিবারিক ঐতিহ্য অনুযায়ী ছোট বেলা থেকেই একজন সহজ-সরল-সৎ মনের অধিকারী ও মেধাবী মানুষ। সামাজিক সচেতনতা এবং মানবিক সেবার অনন্য উদ্যোগ তাকে একজন মানবদরদী ও মহতী মানুষের উচ্চতায় অধিষ্ঠিত করেছে।

তিনি এ পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন রাস্তার উন্নয়ন, স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ, সংস্কার করে গরীব দুঃখী মানুষের মাঝে বয়স্কভাতা, বিধবাভাতা সঠিক বিতরণ করেছেন।

করোনা পরিস্থিতিতে পরিবার পরিজনের কথা না ভেবে করোনা সময়ে একাই তিনি লাশ দাফনের কাজ করেছেন। করোনা রোগীদের সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর নিয়েছেন। তার এই মানবিক কাজে খুশি এলাকাবাসী। তাই এলাকায় তাকে সবাই একজন মানবিক এবং করোনাযুদ্ধা হিসাবে চিনে।

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য মিঠু মিয়া বলেন, করোনার সময় অনেক লাশ দাফন করেছি। কখনো পিছপা হইনি। অনেক বার করোনা আক্রান্ত হয়েছি। তবুও এলাকার সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর নিয়েছি। জনগণের কাজ করার মাধ্যমেই আমি সুখ খুঁজে পাই। আগামীতে জনগণের জন্য আরো বেশি কাজ করবো ইনশাল্লাহ।