
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের নামে অচল অবস্থায় পড়ে আছে। এই বছরের মে মাসে মাঠ সংস্কার কাজ শুরু হলেও এখনো কাজ শেষ হয়নি। ফলে শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পাসে খেলাধুলা করতে পারছেন না।
গত (১২ সেপ্টেম্বর) বিটাক এলাকায় ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম এবং মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই বিভাগের মধ্যে এই সংঘর্ষে কমপক্ষে চৌদ্দ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, যদি মাঠটি খেলাধুলার জন্য উন্মুক্ত থাকতো তবে সেই দিনের সংঘর্ষ হয়তো ঘটতো না বা সংঘর্ষ এড়ানো যেতো।
মার্কেটিং বিভাগের ২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী আরাফাত ইসলাম মজুমদার বলেন, “আমাদের ক্যাম্পাসের মাঠ ঠিক থাকলে আমাদের বাইরে খেলতে যাওয়া লাগতো না। মাঠের কাজ অনেক আগে শেষ হওয়ার কথা ছিল কিন্তু তা হয়নি। কেন হয়নি তাও আমরা জানি না। বাইরে খেলতে গেলে এভাবে বহিরাগতদের সাথেও ঝামেলা হতে পারে। আর সংঘাতের কথাই যদি বলি, আমি মনে করি ক্যাম্পাসের মাঠে খেলা হলে সংঘাত এতদূর পর্যন্ত গড়াতো না।”
মার্কেটিং বিভাগের ২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী শামীম শেখ বলেন, “আমাদের ক্যাম্পাসের একটি মাত্র মাঠ, সেটাকেও বিগত কয়েক মাস ধরে খেলার উপযোগী করার জন্য সময় নেওয়া হয়েছে কিন্তু এখনো সেটি খেলার উপযোগী করা হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের বাইরের মাঠের দিকে যাচ্ছে শারীরিক চর্চার জন্য। এর ফলে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে তারা, তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ বিগত দিনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি। আরও বলতে গেলে তাদের খেলাধুলায় অংশগ্রহণ সীমিত, প্রতিযোগিতা আয়োজনের সমস্যা, সামাজিকীকরণের সুযোগ কমে যাওয়া, শিক্ষার্থীদের অসন্তোষ বৃদ্ধি হচ্ছে। তাই মাননীয় ভিসি মহোদয়ের কাছে অনুরোধ থাকবে যত দ্রুত সম্ভব মাঠকে খেলার উপযোগী করে তোলা হোক।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল শাখার উপ-প্রধান মুরশিদ আবেদীন বলেন, “বৃষ্টির জন্য মাঠে রোলার নামাতে পারছি না এবং মাঠে গাড়িও ঢোকাতে পারছি না। যদি এখন মাঠের পাশে মাটি ফেলি তাহলে সেগুলো মাঠে দিতে আবার বহন খরচ আছে। আপনি এই ব্যাপারে ১ সপ্তাহ পরে আমার সাথে কথা বলুন, ১ সপ্তাহের মধ্যে আপনারা কিছু দেখতে পাবেন।”