
গত ৮ই সেপ্টেম্বর মন্ত্রী পরিষদ সচিবের সভাপতিত্বে প্রাক নিকার বৈঠকে কুমিল্লা ও ফরিদপুর নামে দুইটি বিভাগ গঠনের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়। এতে বৃহত্তর নোয়াখালীকে কুমিল্লা বিভাগের অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব করার প্রেক্ষিতে সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী প্রাক নিকার সচিব কমিটিকে গতকাল সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) নোটিশ ডিমান্ডিং জাস্টিস প্রদান করেন রেজিষ্ট্রি ডাকযোগে।
তিনি ডিমান্ডিং জাস্টিস নোটিশে উল্লেখ করেন, বৃহত্তর নোয়াখালীর প্রায় ৮০ লাখ মানুষের কোন প্রকার বক্তব্য না শুনে, বৃহত্তর নোয়াখালী অঞ্চলে কোন প্রকার গণশুনানি না করে এবং কোনো প্রকার আলোচনা বা মতবিনিময় সভা না করে এমন সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া ন্যাচারাল জাস্টিস এর পরিপন্থী এবং এর ফলে সংবিধানের ৭ অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রের জনগণকে যে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে তার প্রতি সন্মান প্রদর্শন করা হয়নি।
নোয়াখালী নতুন বিভাগ হবে নাকি বিদ্যমান বিভাগের মধ্যেই থাকবে কিংবা নতুন কোন বিভাগের সাথে যাবে কিনা সংবিধানিক অধিকার বলে তা নির্ধারণের একক এখতিয়ার নোয়াখালীর ভাষাভাষী মানুষেরই।
এমনকি বিভাগের জন্য জুলাই বিপ্লব হয়নি এবং জুলাই সনদে একপাক্ষিকভাবে বিভাগের বিষয়টি বৈষম্যমূলক আচরণেরই বহিঃপ্রকাশ। তিনি প্রাক নিকার সচিব কমিটিকে ৭ (সাত) দিনের মধ্যে উক্ত বিষয়টি প্রত্যাহার এবং আইনজীবী, স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এবং স্থানীয় প্রশাসনের সমন্বয়ে দক্ষ প্যানেল প্রস্তুত পূর্বক গণশুনানি করে নোয়াখালী অঞ্চলে নতুন বিভাগ গঠন বিষয়ে সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার পরামর্শ প্রদান করেন।