চালের বাজারে সাময়িক মজুতদারির কারণে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, আমনের ভরা মৌসুম চলছে, চালের ঘাটতি নেই। কিন্তু সাময়িক মজুতদারির কারণে চালের দাম বেড়েছে। এটা অযৌক্তিক এবং দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা হবে।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে টিসিবির পণ্য বিক্রির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন।
তিনি আরও জানান, চালের বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে এবং বাজার স্থিতিশীল করতে বড় পরিসরে চাল আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে মূল্যবৃদ্ধির পার্থক্য বিশ্লেষণ করে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
শেখ বশিরউদ্দীন টিসিবির কার্যক্রমে প্রাথমিক সমস্যাগুলো স্বীকার করে বলেন, “অনিয়ম দূর করতে আমরা কার্যক্রমকে ডিজিটালাইজ করেছি। ইতোমধ্যে ৬৩ লাখ স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। ন্যায়ভিত্তিক বিতরণের পাশাপাশি ক্রয় কার্যক্রমেও স্বচ্ছতা আনতে কাজ করছি।”
তিনি জানান, টিসিবির ১২ হাজার কোটি টাকার ক্রয় কার্যক্রম থেকে দুর্নীতি কমিয়ে ১ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করা সম্ভব হলে এর সেবার পরিসর আরও বাড়ানো যাবে।
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন জানান, ‘চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে আমদানি উদার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর জন্য গভর্নর, খাদ্য উপদেষ্টা, টিসিবি এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। বিপুল পরিমাণ চাল আমদানির প্রক্রিয়া চলছে, যা বাজারে সরবরাহ বাড়িয়ে মূল্যবৃদ্ধি কমাবে।’
বাণিজ্য উপদেষ্টা আরও উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘আলুর ক্ষেত্রে আমদানি উদার করার পর বাজারে দাম কমে গিয়েছিল। একইভাবে, চালের ক্ষেত্রেও একই প্রভাব পড়বে বলে তিনি আশাবাদী। এই উদ্যোগের ফলে চালের বাজারে অস্থিরতা কাটিয়ে শিগগিরই স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা।’