অক্টোবর ১৮, ২০২৪

শুক্রবার ১৮ অক্টোবর, ২০২৪

ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রতিরোধের ক্ষেত্রে সচেতনতা জরুরি

ডিজিটাল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রতিরোধের ক্ষেত্রে সচেতনতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এজন্য এই মাধ্যমসমূহ ব্যবহারের ক্ষেত্রে ভাষা প্রয়োগ, ছবি ও ভিডিও ব্যবহারের ক্ষেত্রে সংবেদনশীল হওয়া বাঞ্চনীয়। আর ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য থেকে উত্তোরণের জন্য সচেতনতার পাশাপাশি,মানসিকতা পরিবর্তন জরুরী বলে মত দেন বক্তারা।

বৃহস্পতিবার (০৮ ফেব্রয়ারি) Presenting research findings conducted in Dhaka to rumor situation বিষয়ক গোলটেবিল বৈঠকে আলোচকরা এসব কথা বলেন। SOUTH ASIA CENTER FOR MEDIA IN DEVELOPMENT(SACMID)ও প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) এর যৌথ আয়োজনে Kingdom Of the Netherlands এর সহযোগীতায় এ গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে। প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) এর সেমিনার কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

SOUTH ASIA CENTER FOR MEDIA IN DEVELOPMENT(SACMID) এর কর্মসূচী ব্যবস্থাপক সৈয়দ কামরুল হাসান ও প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) এর প্রশিক্ষণ বিভাগের সহকারী প্রশিক্ষক জিলহাজ নিপুনের সমন্বয়ে এ গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

গোলটেবিল বৈঠকের সভাপ্রধান প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) এর মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অসম্পাদিত মাধ্যম। তাই একে সংবাদ মাধ্যম হিসেবে গণ্য করা যায়না। তাই বিভ্রান্তি প্রতিরোধে সচেতনতার গুরুত্ব অপরিসীম। তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসক্তির কারণে শিশুদের সুকুমারবৃত্তি প্রস্ফুটিত হচ্ছেনা।

কিংডম অফ নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের সিনিয়র পলিসি অ্যাডভাইজার নামিয়া আক্তার বলেন, ফেক নিউজ যাচাই করা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটা সত্য যাচাই করার অন্যতম মাধ্যম।

ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগের পুলিশ সুপার মোঃ নাজমুল ইসলাম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার ও তার প্রয়োগ নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমের পার্থক্য তুলে ধরেন।

গোলটেবিল বৈঠকে তিনটি জেলার উপর চালানো জরিপের ফলাফল নিয়ে আলোচনা করেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মিডিয়া স্টাডিজ ও জার্নালিজম বিভাগের চেয়ারপার্সন ড. শেখ মোহাম্মদ শফিউল ইসলাম। তিনি সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারের সংখ্যা, ব্যবহারের পদ্ধতি ও অন্যান্য বিষয় তুলে ধরেন।

প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের সহকারী প্রশিক্ষক জিলহাজ উদ্দিন বলেন, সামাজিক মাধ্যমে নারীকে সবেচেয়ে বেশি হেয় প্রতিপন্ন করা হয়।

আলোচনায় এটিএন নিউজের প্রধান প্রতিবেদক আরাফাত সিদ্দিকী বলেন, বৈশ্বিক গণমাধ্যম পর্যবেক্ষণ বা গ্লোবাল মিডিয়া মনিটরিং ১৯৯৫ সালে শুরু হলেও বাংলাদেশে এর যাত্রা শুরু হয় ২০০৫ সালে। যদিও বাংলাদেশে গণমাধ্যম পর্যবেক্ষণ খুব একটা ফলপ্রসূ নয়,তারপরও কিছু নীতিমালার বিষয় তুলে ধরেন। তিনি বলেন,সামাজিক মাধ্যমে তথ্য উপস্থাপনে পাঠক,দর্শক বা শ্রোতাকে যেমন জেন্ডার সহিংসতায় উসকে দিতে পারে, তেমনি নতুন কিছু ইতিবাচক ধারণাও সৃষ্টি করতে পারে।

গোলটেবিল বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন ঢাকা জর্জ কোর্টের আইনজীবী রাকিবুল ইসলাম।তিনি সামজিক মাধ্যম ও সংবাদ মাধ্যমকে মানুষ গুলিয়ে ফেলে উল্লেখ করে বলেন দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন জিনিস।এজন্য সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্ব।

গোলটেবিল বৈঠকে সংবাদকর্মী, বিশেষজ্ঞ, আইনজীবী, পুরোহিত, শিক্ষকসহ মোট ৪০ জন অংশগ্রহণ করেন।