সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪

রবিবার ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

ভুলে ভরা গল্প, বিশ্বকাপ থেকে বিদায় বাংলাদেশের

Bangladesh Cricket Team
ছবি: সংগৃহীত

ক্রিকেট উপমহাদেশে একটি জনপ্রিয় খেলা। এ খেলার সঙ্গে এ অঞ্চলের মানুষের আবেগ জড়িত। খেলা শুরু হওয়ার আগেও একটা সুপ্ত বাসনা নিয়ে ভক্তরা খেলা দেখতে বসেছে , হয়তো পারবে এবার বাংলাদেশ।

কিন্তু সাকিব আল হাসান, তানজিদ হাসান তামিম, নাজমুল হোসেন শান্ত ও সৌম্য সরকারদের মতো অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানদের দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যাটিংয়ে সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন ভেঙে গেল বাংলাদেশের।

আইসিসি আসরে বাংলাদেশকে সেমিতে যেতে হলে আফগানিস্তানের দেওয়া ১১৬ রানের লক্ষ্য ১২.১ ওভারের মধ্যে তাড়া করতে হতো। তবে তা করতে পারেনি নাজমুল হোসেন শান্তর দল। তাতে এই ম্যাচ জিতলেও রান রেটে অস্ট্রেলিয়াকে ছাড়িয়ে যেতে পারবে না তারা।

ফলে এখানেই শেষ হচ্ছে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ যাত্রা।

মঙ্গলবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংস্টনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটের শেষ ম্যাচে ১১৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় প্রথম ওভারেই নাভিন উল হককে চার-ছক্কা হাঁকিয়ে শুরু করেন লিটন দাস।

তবে পরের ওভারেই ফজল হক ফারুকিকে উইকেট দিয়েছেন তানজিদ তামিম। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলটি অফ স্টাম্পের বাইরে গুড লেংথে করেছিলেন ফারুকি। সেখানে ব্যাকফুটে খেলতে গিয়ে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন তানজিদ তামিম। ৩ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি।

তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্তও। উইকেটে এসেই বড় শট খেলার চেষ্টা করেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে নাভিনকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ধরা পড়েন তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৫ বলে ৫ রান।

পরের বলেই সাকিব আল হাসানকেও ফিরিয়েছেন নাভিন। চারে নেমে গোল্ডেন ডাক খেয়েছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। একাদশে ফেরা সৌম্য ভালো শুরু পেয়েও তা কাজে লাতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ১০ বল খেলে করেছেন ১০ রান।

তাওহিদ হৃদয় উইকেটে এসে শুরু থেকেই বড় শট খেলার চেষ্টা করেছেন। তবে এদিন বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। রশিদের শিকার হওয়ার আগে ৯ বলে করেছেন ১৪ রান।

মাহমুদউল্লাহ যখন উইকেটে আসেন তখনও বাংলাদেশের সেমির সমীকরণ বাস্তব ছিল। ১৯ বলে যখন ৪৩ রান দরকার তখন দশম ওভারে ৫ বল ডট খেলেন মাহমুদউল্লাহ। সে ওভার থেকে আসে মাত্র ৪ রান। এতেই সেমির স্বপ্ন ম্লান হয় টাইগারদের।

পরের ওভারে রশিদের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। ৯ বল খেলে ৬ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। পরের বলেই রিশাদ হোসেনকেও ফেরান রশিদ।