
ভারতের উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা এলাকায় একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। শ্বশুর-শাশুড়ি এবং তাঁদের তিন মেয়েকে চায়ের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে দুই জা (দুই ভাইয়ের স্ত্রী) একই পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিলেন। তবে স্বপ্নের ঘর বাঁধার আগেই পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন তাঁরা। এদিকে, সেই প্রেমিক আরিফ মোল্লা সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে গেছেন।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার বিকেলে ইয়াসিন শেখ এবং আনিসুর শেখের স্ত্রী নিখোঁজ হয়ে যান। এরপর ওই দুই ভাই পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন যে তাঁদের প্রতিবেশী যুবক আরিফ মোল্লা তাঁদের স্ত্রীদের নিয়ে পালিয়ে গেছেন। আরিফের স্ত্রীও একই অভিযোগ করেন। মঙ্গলবার এমন অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং শেষ পর্যন্ত দুই গৃহবধূকে আটক করতে সক্ষম হয়।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের সময় ওই দুই গৃহবধূ তাঁদের অপরাধের কথা স্বীকার করেন। তাঁরা জানান, পালিয়ে যাওয়ার সময় যাতে তাঁদের কেউ বাধা দিতে না পারে, সে কারণেই তাঁরা বাড়ির সবাইকে চায়ে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাইয়েছিলেন।
পুলিশ ভ্যানে বসে ছোট বৌ নাজমা নিশ্চিত করেন যে চায়ে বিষ নয়, বরং ঘুমের ওষুধ মেশানো হয়েছিল। তিনি বলেন, “না, না… ওগুলো ঘুমের ওষুধ।”
কেন তাঁরা এমনটি করলেন, এই প্রশ্নের জবাবে পাশে বসা বড় জা কুলচান বলেন, “চায়ে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাইয়েছিলাম। আমরা পালানোর সময় যাতে কেউ আটকাতে না পারে সে জন্য করেছি।” এক প্রেমিকের সঙ্গেই দু’জন পালিয়েছিলেন কিনা, এমন প্রশ্নে বড় বৌ মাথা নেড়ে “হ্যাঁ” বলেন।
পুলিশ জানায়, একই প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়া দুই জা’কে গ্রেপ্তার করার জন্য তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ট্র্যাক করা হয়েছিল। পুলিশ তাদের কাছে পৌঁছানোর আগেই প্রেমিক আরিফ সেখান থেকে পালিয়ে যান। বর্তমানে তাকে গ্রেপ্তারের জন্য বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত দুই বধূকে বুধবারই আদালতে হাজির করা হয়েছে।
 
								
 
								








