বৃহস্পতিবার ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ভারতের পাঞ্জাবে বন্যায় দেড় হাজার গ্রাম প্লাবিত, প্রাণ গেছে অন্তত ৩৭ জনের

রাইজিং ডেস্ক

Rising Cumilla - Floods in Punjab
ভারতের পাঞ্জাবে বন্যা/ছবি: সংগৃহীত

ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যে গত চার দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে। এতে রাজ্যজুড়ে এক ভয়ংকর মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। ১৯৮৮ সালের পর থেকে এমন ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির নজির আর দেখা যায়নি। এখন পর্যন্ত এই বন্যায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে অন্তত ৩৭ জন। কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা, পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) ইন্ডিয়া টুডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বন্যায় পাঞ্জাবের ২৩টি জেলা পুরোপুরিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষ এতে প্রভাবিত হয়েছেন এবং দেড় হাজারেরও বেশি গ্রাম পানির নিচে চলে গেছে। হাজার হাজার পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়ায় তাদের অনেকেই এখন ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গুরুদাসপুর, পাঠানকোট, তরণ, ফিরোজপুর ও অমৃতসর জেলাগুলো। অনেক জায়গায় ৮ থেকে ১০ ফুট পর্যন্ত পানি জমে যাওয়ায় আটকে পড়া মানুষদের নৌকা দিয়ে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

সরকারি হিসাব অনুযায়ী, বন্যায় অন্তত ১.৪৮ হেক্টর ফসলি জমি সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে গেছে, যা কৃষকদের জন্য এক বিশাল ধাক্কা। অবিরাম বৃষ্টিপাতের কারণে আরও বিপর্যয় ঘটার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মুখ্যমন্ত্রী ভগবত মান ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে দেশবাসীর কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন। তার আহ্বানে বিনোদন জগতের অনেক তারকাও এগিয়ে এসেছেন। গায়ক দিলজিৎ দোসাঞ্জ গুরদাসপুর ও অমৃতসরের অন্তত ১০টি গ্রাম দত্তক নিয়েছেন এবং ত্রাণ কার্যক্রমে সরাসরি যুক্ত হয়েছেন।

পাঞ্জাব ছাড়াও প্রতিবেশী রাজ্য হিমাচল প্রদেশ, জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখেও প্রবল বৃষ্টির কারণে বন্যা ও দুর্যোগ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বাঁধ ভেঙে বহু এলাকায় পানি ঢুকে পড়েছে। আবহাওয়া দপ্তর উত্তর পাঞ্জাব, হরিয়ানা, পূর্ব রাজস্থান, দক্ষিণ-পশ্চিম উত্তরপ্রদেশ, উত্তর-পশ্চিম ও পূর্ব মধ্যপ্রদেশ এবং ওড়িশাতেও তীব্র বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে।

এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মোকাবিলায় পাঞ্জাব সরকার রাজ্যের সব স্কুল ও কলেজ বন্ধ ঘোষণা করেছে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। একই সঙ্গে সেনাবাহিনী এবং দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে নেমেছে। মানুষের দুর্ভোগ কমাতে প্রশাসন আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন