সোমবার ২৫ আগস্ট, ২০২৫

ভরা মৌসুমেও ইলিশের দেখা নেই পায়রা নদীতে, হতাশ জেলেরা

রাইজিং ডেস্ক

ইলিশ মাছ/ছবি: সংগৃহীত

পটুয়াখালীর পায়রা নদীতে ভরা মৌসুমেও ইলিশের দেখা না মেলায় গভীর হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন স্থানীয় জেলে ও আড়তদাররা। ইলিশের দুষ্প্রাপ্যতার কারণে বাজারে দাম আকাশছোঁয়া, যা সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে।

৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পরও জেলেরা প্রত্যাশিত ইলিশের দেখা পাচ্ছেন না, প্রায়শই তাদের শূন্য হাতে ফিরতে হচ্ছে। জেলেদের ধারণা, অস্বাভাবিক আবহাওয়া এবং নদীতে জেগে ওঠা ডুবোচরের কারণে মাছের চলাচল কমে গেছে।

এদিকে, বাজারে যে অল্প ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে, তার দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। ক্রেতাদের প্রতি কেজি ইলিশ কিনতে হচ্ছে ১ হাজার ৭০০ থেকে ২ হাজার ৮০০ টাকা দরে।

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) মৎস্য অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. সাজেদুল হক এই সংকটের পেছনে কয়েকটি কারণ চিহ্নিত করেছেন। তার মতে, সাগরের লবণাক্ততা বৃদ্ধি, সমুদ্রের উষ্ণতা, অবৈধ জালের ব্যবহার এবং অতিরিক্ত নৌচলাচলের কারণে ইলিশের বিচরণ কমে যাচ্ছে। তিনি এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় কঠোরভাবে নিয়মকানুন মেনে চলা, জেলেদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সরকারি পদক্ষেপ বাস্তবায়নের ওপর জোর দিয়েছেন।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান জানান, জলবায়ু পরিবর্তন, ডুবোচর ও নাব্যতা সংকটের কারণে ইলিশের মাইগ্রেশন রুট পরিবর্তিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদি এই সমস্যা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া না হয়, তাহলে শত শত জেলে কর্মহীন হয়ে পড়বেন।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, যেমন অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, ও তীব্র তাপপ্রবাহ, এবং নদীর নাব্যতা হ্রাস ও দূষণ ইলিশের মাইগ্রেশনকে বাধা দিচ্ছে। ফলস্বরূপ, ডিম ছাড়ার জন্য মা ইলিশ মিঠা পানির নদীতে আসতে পারছে না। এছাড়াও, জাটকা নিধন এবং বাধা ও কারেন্ট জালের অবৈধ ব্যবহার এই সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলছে।

আরও পড়ুন