মার্চ ১২, ২০২৫

বুধবার ১২ মার্চ, ২০২৫

ব্রিজ নয় যেন মরণ ফাঁদ, দুর্ভোগে ৮ গ্রামের মানুষ!

The bridge is not a death trap, the people of 8 villages suffer!
ছবি: সংগৃহীত

পাকা সেতু না থাকায় কাঠের সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে ফটিকছড়ি উপজেলার দাঁতমারা ইউনিয়নের গজারিয়াসহ দুর্ভোগে রয়েছে ৮ গ্রামের মানুষ।

বর্তমানে এটি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। নড়বড়ে এ সেতু দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ ও দুই শতাধিক যানবাহন চলাচল করে। গজারিয়া খালের উপর নির্মিত অস্থায়ী কাঠের সেতুটি দিয়ে কাঞ্চনা, বড় বেতুয়া, ছোট বেতুয়া, সন্দীপ পাড়া, উত্তর বান্দর মারা, দক্ষিণ বান্দর মারা, মুজাহিদপুর, চুড়ামনিসহ আট গ্রামের অন্তত দুই হাজার মানুষকে নিত্যদিন যাতায়াত করতে হয়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, কয়েকটি গাছের খুঁটির উপর বিপজ্জনকভাবে দাঁড়িয়ে আছে কাঠের সেতুটি। সেতুটি তুলনামূলক সরু হওয়ায় যানবাহন চলাচল করতে হয় এক লাইনে। যার কারণে উভয় পাশে হরহামেশা যানজটের  সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি সেতুর উভয় পাশে রেলিং না থাকায় দুর্ঘটনা যেন নিত্যসঙ্গী।

এ বিষয়ে স্থানীয় স্কুল শিক্ষক নুরুল হক বলেন, সেতুটি দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপারে বাধ্য হচ্ছেন গ্রামের সাধারণ মানুষ ছাড়াও খালের দুই পাড়ে গড়ে উঠা স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসাসহ চার পাঁচটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শত-শত শিক্ষার্থী। চলাচল করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হতে হয় তাদের। অথচ এখানে একটি পাকা সেতু নির্মাণ হলে বদলে যাবে এ অঞ্চলের অর্ধলক্ষ মানুষের জীবনমান।

এ বিষয়ে বেতুয়া গ্রামের বাসিন্দা নুরুল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকে এখানে একটি সেতু নির্মাণের জন্য স্থানীয়রা দাবি জানিয়ে আসলেও কেউ এগিয়ে আসেনি। এলাকাবাসীর আর্থিক সহায়তায় অস্থায়ী এ কাঠের  সেতু তৈরি করে যাতায়াত করতে হচ্ছে।’

এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপজেলা প্রকৌশলী তন্ময় নাথ বলেন, ‘গজারিয়া খালের মুজাহিদপুর নামক স্থানে সেতু নির্মাণ সময়ের দাবি। সেতুটির গুরুত্ব বিবেচনা করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।’