
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে আধিপত্য বিস্তার ও জমি দখলের পাঁয়তারায় উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়ন কৃষক দলের সদস্য সচিব ও সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর রহিমের বাড়িতে হামলা চালিয়ে লুটপাট ও ভাঙচুর করেছেন স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা মোঃ রবিউল্লাহ এবং তার দলের অনুসারীরা। এ ঘটনায় কৃষকদল নেতা আব্দুর রহিম ও তার পরিবারের লোকজন ২১দিন যাবত বাড়িছাড়া।
নোয়াগাঁও ইউনিয়নের চৌরাগোদা গ্রামের বাসিন্দা কৃষকদল নেতা আব্দুর রহিমের অভিযোগ, মোঃ রবিউল্লাহ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা এবং আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি মঈন উদ্দিনের বিশ্বস্ত লোক। শেখ হাসিনার আমলে রবিউল্লাহ আমাকে নানাভাবে হয়রানি করেছেন শুধু আমি বিএনপি রাজনীতি করি বিধায়। রবিউল্লাহ’র বাড়িতে আওয়ামী লীগের নেতাদের নিয়মিত মিটিং হতো, এখনও আওয়ামী লীগের কার্যক্রমের অফিস আছে রবিউল্লাহ’র বিল্ডিংয়ে।
কৃষকদল নেতা আব্দুর রহিম বলেন, আমি ইউনিয়নের কৃষকদলের সদস্য সচিব পদ লাভ করার পর তেলেবেগুনে জ্বলে উঠে আওয়ামী লীগ নেতা রবিউল্লাহ। যে জমি নিয়ে আদালতে দীর্ঘদিন যাবত মামলা চলমান, সেই জমি নিয়ে বাহানা ধরে রবিউল্লাহ সহ আওয়ামী লীগের সমর্থকরা আমার বাড়িতে তিন দফা হামলা চালায়। সর্বশেষ হামলা চালায় গত ২৩ আগস্ট। এসব ঘটনায় থানায় দুটি মামলা রুজু হয়। কিন্তু অজানা কারণে পুলিশ আসামিদের গ্রেফতার করছে না। দুই মামলার কয়েকজন আসামি জামিনে এসে ফের আমার ঘরবাড়িতে হামলা চালায়।
রবিউল্লাহ সহ তার অনুসারী আওয়ামী লীগ সমর্থকদের অত্যাচারে আমি ও পরিবারের লোকজন ঘরবাড়ি ফেলে অন্যত্র মানবেতর জীবনযাপন করছি।
ভুক্তভোগী আব্দুর রহিমের স্ত্রী ও ছেলের দাবি, হত্যার উদ্দেশ্যে’ই তাদের ওপর দফায় দফায় হামলা চালিয়ে আসছে রবিউল্লাহ ও তার দলবল। হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি লুটপাট করা হয়েছে নগদ এক লক্ষ আশি হাজার টাকা ও জিনিসপত্র। নানাভাবে নিপীড়িত নির্যাতিত হলেও পাশে দাঁড়াচ্ছে না স্থানীয় সালিশকারক কিংবা জনপ্রতিনিধিদের কেউই।
তবে কৃষকদল নেতা আব্দুর রহিমের সকল অভিযোগ অস্বীকার করে মোঃ রবিউল্লাহ বলেন, বিএনপির দাপট দেখিয়ে আব্দুর রহিম যা ইচ্ছে তা-ই করছেন। তিনি একে একে সবাইকে আওয়ামী লীগ বানিয়ে সন্ত্রাসী তকমা লাগিয়ে দিচ্ছেন। আমাদের জায়গা জোরপূর্বক দখল করে রেখেছেন আব্দুর রহিম। জমির বিষয়ে তিনি সামাজিক সালিসি মানতে চান না। আমাদের নয়টি ঘর ভাঙচুর করায় আমরা বাধ্য হয়ে আব্দুর রহিমের বসতঘর ভেঙে দিয়েছি।
এসব ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সরাইল থানার এসআই জাহিদ হাসান বলেন, আব্দুর রহিমের দায়ের করা দুটি মামলা-ই তদন্ত চলছে। কিছু আসামি জামিনে আছে, বাকিদের গ্রেফতারে চেষ্টা অব্যাহত আছে।