
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর বড় হুজুর বাড়ি দারুন নাজাত মহিলা মাদ্রাসায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে আটজন শিক্ষার্থী।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) মধ্যরাতে বিদ্যুতের ট্রান্সমিটার বিস্ফোরণের ফলে তারা দগ্ধ হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দগ্ধদের দ্রুত উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান দগ্ধ শিক্ষার্থীদের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত জানান। তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণের শিকার হয়ে ৮ মাদ্রাসা শিক্ষার্থী এখানে এসেছে।
সাদিয়া আক্তার (১২): ১৩ শতাংশ দগ্ধ, আলেয়া (৩০): ১৪ শতাংশ দগ্ধ, আফরিন (১৩): ৫ শতাংশ দগ্ধ, রুবাইয়া আক্তার (৯): ৫ শতাংশ দগ্ধ, নুসরাত (১০): ৩ শতাংশ দগ্ধ, তুইবা (৬): ৩ শতাংশ দগ্ধ, রওজা (১৩): ৩ শতাংশ দগ্ধ, আয়মান (৬): ২ শতাংশ দগ্ধ।
চিকিৎসক আরও জানান, দগ্ধদের মধ্যে ৫ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে সাদিয়া, আলেয়া ও আফরিন সহ বাকি ৩ জনকে জরুরি বিভাগের অবজারভেশনে (পর্যবেক্ষণে) রাখা হয়েছে।
দগ্ধদের মধ্যে সাদিয়া আক্তারের বাবা মো. আবু সাঈদ জানান, বুধবার বিকেলের দিকে মাদ্রাসার পাশে থাকা ট্রান্সমিটারটি হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের পর পরই আগুনের ফুলকি মাদ্রাসার চতুর্থতলার ভেতরে ঢুকে যায়। এর ফলেই সেখানে থাকা শিক্ষার্থীরা আগুনে দগ্ধ হয়। দুর্ঘটনার পরপরই দগ্ধ অবস্থায় সবাইকে উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়।









