
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে কদবেল খাওয়া নিয়ে দুই যুবকের মাঝে কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতির জেরে উচালিয়াপাড়া এবং সৈয়দটুলা গ্রামবাসীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে উপজেলা সদরের হাসপাতাল মোড়ে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। প্রায় ৫ ঘণ্টা সংঘর্ষের পর যৌথ বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সরাইল উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনের আগ মুহূর্তে উচালিয়াপাড়া গ্রামের মোজাহিদ ও সৈয়দটুলা গ্রামের এক যুবক কদবেল কিনতে গেলে তাদের ধাক্কা লাগে। বিষয়টি পরে কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতিতে রূপ নেয়।
এ সময় বিষয়টি মীমাংসা করতে সৈয়দটুলা গ্রামের বাসিন্দা ও বিএনপি সমর্থক মোশারফ এগিয়ে আসলে, মোজাহিদ তার মাথায় আঘাত করে। এ ঘটনার জেরে উভয় গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।রক্তক্ষয়ী এ সংঘর্ষে আহত প্রায় ৪০ জনকে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেলা সদরে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে সরাইল উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরুজ্জামান লস্কর তপু দাবি করেন, এগুলো ফ্যাসিস্ট ও আওয়ামী দোসরদের ষড়যন্ত্রের অংশ। দলকে বিতর্কিত করার উদ্দেশ্যে এ ঘটনা ঘটিয়েছে অসাধু চক্র। এই দ্বন্দ্বের সঙ্গে দলের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল শান্তিতে বিশ্বাসী। আমি দলের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার পাশাপাশি প্রশাসনকে এ ধরনের ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোরশেদুল আলম চৌধুরী বলেন, পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী মাঠে রয়েছে।
সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মোশারফ হোসাইন বলেন, পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনীর চেষ্টায় পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।