ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া জেলার ৮০ ভাগ মানুষ মিথ্যা তথ্য কি জানেন না । যার ফলে প্রতিনিয়ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া গুজবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে জেলাটির সর্বস্তরের প্রায় ৩০ লাখ মানুষ।
গত (২৯ জানুয়ারি) সোমবার বেলা ১২ টায় নগরীর প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সাউথ এশিয়া সেন্টার ফর মিডিয়া ইন ডেভেলপমেন্ট (সাকমিড) নামক সংগঠনের পরিচালনায় ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজবের বিস্তার বিষয়ক পরিস্থিতি পর্যালোচনায় বাংলাদেশের তিন জেলায় পরিচালিত গবেষণার তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন সভা’ আয়োজিত হয়।
কর্মশালা আয়োজনে সহযোগিতা করে স্থানীয় সুশীল সংগঠন স্বণির্ভর ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া।
সাকমিডের প্রোজেক্ট কনসালটেন্ট অধ্যাপক ড. শেখ শফিউল ইসলামের পরিচালিত গবেষণা ফলাফল উপস্থাপন থেকে আরো জানা যায়, ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া জেলার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের মধ্যে মাত্র ৫১ শতাংশ নিজের একাউন্ট খুলতে পারে, ১৩ শতাংশ মানুষ ব্যবহার করতে জানে না। এছাড়াও মাত্র ৩৫ শতাংশ মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাওয়া তথ্য যাচাই করতে সক্ষম।
সাকমিডের গবেষণাটি সম্প্রতি দেশের ঢাকা, ময়মনসিংহ ও ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া জেলার মোট ৪০০ জনের ওপর জরিপ, ৩০ জনের নিবিড় সাক্ষাৎকার ও ছয়টি দলগত আলোচনার মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে। বাংলাদেশে অবস্থিত নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের আর্থিক সহায়তায় সাকমিড বাংলাদেশের ঢাকা, ময়মনসিংহ ও ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া জেলায় এবছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মিথ্য তথ্য ও অপতথ্য এবং কিভাবে গুজব ছড়ায়, কারা গুজব ছড়ায়, কি ধরণের গুজব ছড়ায় এবং এসব থেকে পরিত্রানের বিষয়ে কাজ করবে।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. মোশারফ হোসেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আসলাম হোসেন, প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা এবং ভারপ্রাপ্ত তথ্য অফিসার মোঃ ফখরুল ইসলাম। সভায় সভাপতিত্ব করেন, সাকমিডের প্রোগ্রাম ম্যানেজার সৈয়দ কামরুল হাসান।
সম্পাদক : শাদমান আল আরবী | নির্বাহী সম্পাদক : তানভীর আল আরবী
ঠিকানা : ঝাউতলা, ১ম কান্দিরপাড়, কুমিল্লা-৩৫০০। ফোন : ০১৩১৬১৮৬৯৪০, ই-মেইল : [email protected], বিজ্ঞাপন: [email protected], নিউজরুম: [email protected] © ২০২৩ রাইজিং কুমিল্লা সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত। | Design & Developed by BDIGITIC