কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের ডগ্রাপাড়া (আছমত আলী মোল্লা বাড়িতে) প্রতিপক্ষের অতর্কিত হামলায় মো. বাছির উদ্দিন (৩০) নামে একজন গুরুতর জখম হবার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় পুলিশ দুইজনকে আটক করে কুমিল্লা জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।

ঘটনাটি ঘটেছে গত (৮ এপ্রিল) মঙ্গলবার রাত ১০টায় নায়েব আলী মাস্টার বাড়ীর পার্শ্বে। সে একই এলাকার মোঃ মফিজুল ইসলামের ছেলে। এবিষয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে হামলায় আহত মোঃ বাছির উদ্দিনের স্ত্রী মিনা ইসলাম।

থানার অভিযোগে মিনা ইসলাম উল্লেখ করে বলেন, হামলায় বিবাদী ইকবাল হোসেনের ছেলে মো. ইমরান হোসেন (২৩), আব্দুল মান্নানের ছেলে মো. ইসরাফিল (৩৫), মৃত রেনু মিয়ার ছেলে মামুন (৩৮), মো. ইকবাল হোসেনের ছেলে মো. ইয়াছিন (১৬), মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে মো. আতিকুর রহমান বাবুল (৩৭), মৃত হানু মিয়ার ছেলে ফারুক আহাম্মদ (৩৮), আব্দুল মান্নানের ছেলে বিল্লাল হোসেন (৪৫), মৃত রেনু মিয়ার ছেলে মো. আরিফ (৩৪), মো. রাজিব (২৮), মো. এরশাদ মিয়া (৩৬), মৃত হানু মিয়ার ছেলে সোহাগ মিয়া (৩০), বিল্লাল হোসেনের ছেলে মো. সিয়াম (১৭), আব্দুল মোমেনের ছেলে মো. রাছেল (২৮) সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জন পূর্ব হতে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমার স্বামীর সাথে বিরোধ চলে আসছিলো এবং হামলা করার সুযোগ খুজঁছিলো।

এরই ধারাবাহিকতায় গত (৮ এপ্রিল) মঙ্গলবার রাত ১০টায় আমার স্বামী মো. বাছির উদ্দিন দোকান বন্ধ করে বাড়িতে ফেরার পথে ডগ্রাপাড়া নায়েব আলী মাস্টার বাড়ির পার্শ্বে পৌঁছামাত্র বিবাদীগনসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জন বেআইনি ও পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হাতে ধারালো রাম দা, ছুরি, লোহার রড ও লাঠি-সোটা নিয়া আমার স্বামীর উপর অতর্কিত হামলা করে।

তখন তাদের হাতে থাকা রাম দা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার স্বামীর মাথায় কোপ দেয় এবং গুরুতর কাঁটা রক্তাক্ত জখম হয়। তখন হাত দিয়ে নিজেকে রক্ষা করতে গেলে বাম গালে বাম চোখের নিচের অংশে কোপ পড়ে গুরুতর কাঁটা রক্তাক্ত জখম হয় এবং কোপের আঘাতে উপরের মাড়ির দাঁত পড়ে যায়। এতে হাত দিয়ে নিজেকে রক্ষা করতে গেলে বাম হাতের কব্জির গুরুতর কাঁটা রক্তাক্ত হয়। আমার স্বামীর প্যান্টের পকেটে থাকা ব্যবসায়ের নগদ ৬০ হাজার টাকা হামলাকারীরা লুট করে নিয়ে যায়।

এছাড়া লোহার রড দিয়ে হামলাকারীরা শরীরের বিভিন্ন অংশে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে এবং পায়ের রগ কেটে ফেলে দৌড়ে পালিয়ে যায়। তখন তার ডাকচিৎকারে এলাকাবাসী দৌড়ে এসে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আশঙ্কাজনক অবস্থা দেখে তাকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। বর্তমানে সেখানে সে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। এসব ঘটনায় কাউকে কিছু বললে হামলাকারীরা প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় এবং ভবিষ্যতে চরম মূল্য দিতে হবে বলেও হুমকি দিয়ে যায়।

এঘটনায় থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সুজন কুমার আচার্য্য বলেন, গুরুতর আহত মো. বাছির উদ্দিনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। দুইজন আসামিকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যান্য আসামীদেরও আটক করার চেষ্টা করা হচ্ছে।