
কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল ইউনিয়নের দেউষ গ্রামে জোরপূর্বক ক্রয়কৃত জায়গায় বাউন্ডারী দেয়াল নির্মাণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী হাজী ডাঃ রওশন আলীর ছেলে মোঃ আমানউল্লাহ আমান।
তিনি অভিযোগে উল্লেখ করে বলেন শশীদল ইউনিয়নের দেউষ গ্রামের মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে মোঃ তালেব আলী (৬০), মৃত আবু তাহের ভূইঁয়ার ছেলে মোঃ নজরুল ইসলাম ভূইঁয়া (৪০), মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে মোঃ আইয়ুব আলী (৪০), মোঃ আলী আকবরের ছেলে মোঃ জহিরুল ইসলাম (৩০) সহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন তারা খারাপ উচ্ছৃঙ্খল প্রকৃতির লোক এবং পরধনলোভী।
গত প্রায় ২৫ বছর পূর্বে আমার বাবা হাজী ডাঃ রওশন আলী একই গ্রামের মোঃ ছগির ভূইঁয়াদের নিকট হতে দাওয়াতুল হক তালিমুল কোরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসার পূর্ব পাশে ৭ শতক সম্পত্তি ক্রয় করেন। তারপর হতে আমরা উক্ত সম্পত্তি ক্রয়সূত্রে মালিক ভোগ দখল আসিতেছি।
কিন্তু পূর্ব হতে অভিযোগে বর্ণিত বিবাদীগণ’সহ অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩ জন বিবাদী আমার বাবার ক্রয়কৃত সম্পত্তি জোরপূর্বকভাবে ভোগ দখল করার পাঁয়তারা করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সকালে অভিযুক্ত মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে মোঃ তালেব আলী (৬০), মৃত আবু তাহের ভূইঁয়ার ছেলে মোঃ নজরুল ইসলাম ভূইঁয়া (৪০), মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে মোঃ আইয়ুব আলী (৪০), মোঃ আলী আকবরের ছেলে মোঃ জহিরুল ইসলাম (৩০) সহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন রাজ মিস্ত্রীকে উচ্চ বেতনের পারিশ্রমিক দিয়ে আমার বাবার ক্রয়কৃত সম্পত্তিতে জোরপূর্বকভাবে বাউন্ডারির দেয়াল নির্মাণ কাজ শুরু করে।
তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্রয়কৃত সম্পত্তিতে দেয়াল নির্মাণ কাজে বাঁধা প্রদান করলে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে অভিযুক্তরা তাদের হাতে থাকা লাঠি-সোটা দিয়া আমাকে মারধর করার আক্রমণ করিলে আশেপাশের লোকজন আমাকে অভিযুক্তদের হতে রক্ষা করে।
একপর্যায়ে সকল অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে বলে আমি আমার বাবার ক্রয়কৃত সম্পত্তিতে তাদেরকে দেয়াল নির্মাণ কাজে বাঁধা প্রদান করিলে আমাকে’সহ আমার পরিবারের লোকজনদেরকে প্রাণে মেরে ফেলবে।
এমন জোরপূর্বক ঘটনায় নিজস্ব ক্রয়কৃত ক্রয়কৃত সম্পত্তিতে অভিযুক্তদের বাউন্ডারির দেয়াল নির্মাণ কাজ বন্ধ করা একান্ত প্রয়োজন। এজন্য ভুক্তভোগী মোঃ আমানউল্লাহ আমান প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।