
স্বৈরাচার হাসিনার পতনের পর জুলাই বিপ্লবের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা শাখার আয়োজনে বিশাল গনমিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ আগষ্ট) বিকাল ৩টায় উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে একটি গনমিছিল উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা সিএনজি স্ট্যান্ড চত্ত্বরে এক সমাবেশের মধ্যদিয়ে শেষ হয়।
এতে উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা রেজাউল করিম এর সভাপতিত্বে ও সহকারি সেক্রেটারি মাওলানা রফিকুল ইসলাম ভূইঁয়া এর পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামি ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি, কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া) আসনের বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী ও (বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া) উন্নয়ন ফোরাম এর চেয়ারম্যান ডক্টর এডভোকেট মোবারক হোসাইন।
বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা উত্তর জেলা জামায়াতে ইসলামীর শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মিজানুর রহমান আতিকী।
প্রধান অতিথির বক্তব্য ডক্টর মোবারক হোসাইন বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার এদেশের মানুষের উপর অত্যাচার নির্যাতন চালিয়েছিলো। দিনের ভোট রাতে, কখনো বিনা ভোটে, কখনো ডামি ভোটে ক্ষমতা দখল করেছিলো। গুম, খুন, রাহাজানির মাধ্যমে পুরো দেশকে কারাগারে পরিণত করেছিলো। তাই ছাত্রজনতাসহ সর্বস্তরের জনগন ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে বিতাড়িত করেছে।
এসময় উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মাওলানা আনিছুর রহমান, শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, শশীদল ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা আবদুর রহমান সেলিম, চান্দলা ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমীর অধ্যাপক মোহাম্মদ আমিরুল ইসলাম, দুলালপুর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা কাজী আব্দুল হান্নান, সদর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা মাঈন উদ্দিন সাঈদ, শিদলাই ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা আবু কাউছার সরকার, সাহেবাবাদ ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমীর মোঃ আমিনুল ইসলাম, মালাপাড়া ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি আইয়ুব খান পাঠান, উপজেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. আজাদ হোসাইনসহ জামায়াতে ইসলামীর বিভিন্ন পর্য্যায়ের হাজারো নের্তৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
গনমিছিলে বিভিন্ন স্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠে উপজেলা। এসময় “জামায়াত শিবির জনতা, গড়ে তোলো একতা”, “কথায় কথায় বাংলা ছাড়, বাংলা কি তোর বাপ দাদার”, “চাঁদাবাজের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না”, বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে নেতাকর্মীরা।