বৃহস্পতিবার ১৪ আগস্ট, ২০২৫

বেরোবিতে ১২০ শিক্ষার্থীর মাঝে ১২ লাখ টাকা তুলে দিলেন ইউনিভার্সাল হেল্প হাব

বেরোবি প্রতিনিধি

বেরোবিতে ১২০ শিক্ষার্থীর মাঝে ১২ লাখ টাকা তুলে দিলেন ইউনিভার্সাল হেল্প হাব
বেরোবিতে ১২০ শিক্ষার্থীর মাঝে ১২ লাখ টাকা তুলে দিলেন ইউনিভার্সাল হেল্প হাব/ছবি: প্রতিনিধি

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) বাইশটি বিভাগের একশত বিশজন সুবিধাবঞ্চিত এতিম শিক্ষার্থীদের মাঝে জনপ্রতি দশ হাজার টাকা করে দশহাজার টাকা করে মোট ১২ লাখ টাকার এককালীন বৃত্তি দিলেন ইউনিভার্সাল হেল্প হাব (ইউএইচএইচ)

বুধবার (১৩ আগস্ট) বিকেল ৫ টায় ‘নাহার – ইউনিভার্সাল হেল্প হাব আপলিফ্টমেন্ট স্কলারশিপ এন্ড স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের গ্যালারি রুমে শিক্ষার্থীদের বৃত্তি তুলে দেন বেরোবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শওকাত আলী ও ইউনিভার্সাল হেল্প হাবের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক মুজাহিদুল ইসলাম।

সুমাইয়া খান অনামিকার সঞ্চালনায় ও ইউএইচএইচ এর সভাপতি মুজাহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ শওকত আলী।

বেরোবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শওকাত আলী ইউনিভার্সাল হেল্প হাবের প্রশংসা করে বলেন, মুজাহিদ স্যারসহ তাঁর বন্ধুদের এই মহৎ উদ্যোগে আমি বাংলাদেশে আর কোথায় দেখিনি। এই ধরনের ইউনিক সাপোর্ট শিক্ষা সবার জন্য সমান সুযোগ নিয়ে আসে। এই স্কলারশিপের মাধ্যমে অনেক সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থী তাদের উচ্চশিক্ষা চালিয়ে যেতে পারবে এবং নিজেদের ভবিষ্যৎ গড়তে সক্ষম হবে।

ইউনিভার্সাল হেল্প হাবের (ইউএইচএইচ)- সভাপতি লোক প্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ মুজাহিদুল ইসলাম স্কলারশিপের উদ্দেশ্য ও কার্যকারিতা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি শিক্ষার মাধ্যমে দারিদ্র্য দূর করা সম্ভব। এই স্কলারশিপের মাধ্যমে আমরা মেধাবী শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে চাই, যাতে তারা কোনো আর্থিক সংকটের কারণে তাদের পড়াশোনা থেকে বঞ্চিত না হয়।

তিনি আরো বলেন, আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আজকে ১২০ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে এককালীন বৃত্তি দিচ্ছি। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এইটার গুরুত্ব অনেক। যাদের বাবা- মা নেই তারা বুঝে পৃথিবীটা কত কঠিন। বাবা-মা না থাকার অভাব কোন ভাবেই পূরণ হওয়ার নয়।

বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী মো: আরিফুল ইসলাম বলেন, আমি আজকে যে এইখানে এই জন্য সবথেকে বেশি অবদান আমার মায়ের। আমার মা আমাকে সর্ব প্রথম ৫০ টাকা দিয়ে স্কুল ভর্তি করে। আমার পড়াশুনার পেছনে এই ধরনের বৃত্তি গুলা না থাকলে আমার জন্য পড়ালেখা করা খুবই কষ্ট হয়ে যেত। আমি যদি ভবিষ্যতে ভালো কিছু করি তাহলে কোনোদিন অন্যায় করব না একজন ভালো মানুষ হতে চাই।

আরেক শিক্ষার্থী হুসনেরা খাতুন বলেন, আমি বাবা ডাক কখনো ডাকিনী বাবাকে কখনো দেখিনি। আমি যদি আজকের এই বৃত্তি না পেতাম তাহলে আমার ডিপার্টমেন্ট এর একটি প্রোগ্রামের কাজ করতে পারতাম না। অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা নাহারকে, আমাকে এই সহযোগিতা করার জন্য।

উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মো. হারুন-অর রশিদ, প্রক্টর ড. মো ফেরদৌস রহমান, ছাত্র পরামর্শ ও উপদেষ্টা পরিচালক প্রফেসর ড.ইলিয়াস প্রামাণিক, সহকারী প্রক্টর ড.আবদুল্লাহ আল মাহাবুব, রংপুর সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম, লোক প্রশাসন বিভাগের, প্রভাষক নিয়াজ মাখদুম, সাইফুল ইসলাম সজীব, আফজাল হোসেন শাকিল এবং এএম মুবাশ্বির শাহ্সহ শতাধিক বৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থী।

আরও পড়ুন