গত বুধবার মধ্যরাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ক্যাম্পাসে প্রবেশ নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এরপর থেকে পাল্টাপাল্টা কর্মসূচি পালন করে আসছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ও বুয়েটের সাধারণ ছাত্ররা।
সাধারণ ছাত্রদের দাবি বুয়েটে কোনো ছাত্র রাজনীতি চলবে না। অন্যদিকে ছাত্রলীগের দাবি সেখানে তাদের রাজনীতি করার অধিকার রয়েছে।
এদিকে ২০১৯ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করে দেওয়া প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে হাইকোর্ট। সেই হিসেবে এখন থেকে বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি চলবে।
সোমবার (১ এপ্রিল) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ এ নির্দেশনা দেন। এর আগে বুয়েট ছাত্র রাজনীতি করার অনুমতি চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট করা হয়। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদনটি করেন বুয়েটের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ রাব্বি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুপ্রিম কোর্ট বারের নবনির্বাচিত সম্পাদক শাহ মঞ্জুরুল হক। তিনি বলেন, রাজনীতি বন্ধ করতে যে নোটিশ দিয়েছিল সেটি স্থগিত চাওয়া হয়েছে।
২০১৯ সালে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ নিহত হওয়ার পর ছাত্রদের আন্দোলনের মুখে প্রতিষ্ঠানটিতে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ হয়। একই বছরের ১১ অক্টোবর বুয়েট কর্তৃপক্ষের দেওয়া ‘জরুরি বিজ্ঞপ্তির’ বৈধতা নিয়ে বুয়েটের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন রাহিম এই রিটটি করেন।
ওই ঘটনার চার বছর পর বুয়েটে আবারও ছাত্ররাজনীতি চালুর জন্য তৎপর হয়ে উঠেছে ছাত্রলীগ।
পুনরায় ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি প্রবেশ করানোর ব্যাপারে বুয়েট ভিসি প্রফেসর ড. সত্যপ্রসাদ মজুমদার বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) রাজনীতি বন্ধ করা হয়েছিল। তারা চাইলে আবার শুরু হবে। তবে সে উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের থেকেই নিতে হবে।
তিনি বলেন, রাজনীতি না করলে দেশের প্রতি দায়িত্ববোধ আসবে না। রাজনীতি করার অধিকার সকলেরই আছে। আন্দোলন ছেড়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে যাওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।