চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি প্রায় ৪.৮ শতাংশ পর্যায়ে সীমিত থাকতে পারে। এর পাশাপাশি দেশের দারিদ্র্যের হার বৃদ্ধি পেয়েছে এবং কর্মসংস্থানের পরিস্থিতিও ততটা সুখকর নয়।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বিশ্বব্যাংকের প্রকাশিত সর্বশেষ বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট-এ এই তথ্য তুলে ধরা হয়।বিশ্বব্যাংকের ডিভিশন ডিরেক্টর জ্যঁ পেম এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৫ অর্থবছরে জাতীয় দারিদ্র্যের হার বেড়ে ২১.২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা ২০২৪ অর্থবছরে ছিল ২০.৫ শতাংশ। অর্থাৎ মাত্র এক বছরের ব্যবধানে দারিদ্র্য বেড়েছে প্রায় ০.৭ শতাংশ। এই বর্ধিত দারিদ্র্য দেশের সামাজিক স্থিতিশীলতার উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
দেশের শ্রমবাজারের দিকেও এক উল্লেখযোগ্য অবনতি লক্ষ্য করা গেছে। ২০২৩ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণের হার ৬০.৯ শতাংশ থেকে কমে ৫৮.৯ শতাংশে নেমে এসেছে। এই পতনের মূল কারণ হিসেবে নারী শ্রমশক্তির অংশগ্রহণের তীব্র হ্রাসকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন করে শ্রমবাজারের বাইরে চলে গেছেন ৩০ লাখ কর্মক্ষম মানুষ, যার মধ্যে প্রায় ২৪ লাখই নারী। এই পরিসংখ্যান নারী কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে এক গভীর সংকটের চিত্র তুলে ধরে।
একই সময়ে মোট কর্মসংস্থান প্রায় ২০ লাখ কমে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে মোট কর্মরত মানুষের সংখ্যা ৬ কোটি ৯১ লাখ (৬৯.১ মিলিয়ন)। এই পরিবর্তনের ফলে কর্মসংস্থান-জনসংখ্যা অনুপাত ২.১ শতাংশ পয়েন্ট হ্রাস পেয়ে ৫৬.৭ শতাংশে নেমে এসেছে।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, অর্থনৈতিক চাপ, উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং নারী শ্রমশক্তির সীমিত অংশগ্রহণ সামগ্রিকভাবে শ্রমবাজারকে প্রভাবিত করছে। এই পরিস্থিতি দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
সম্পাদক : শাদমান আল আরবী | নির্বাহী সম্পাদক : তানভীর আল আরবী
ঠিকানা : ঝাউতলা, ১ম কান্দিরপাড়, কুমিল্লা-৩৫০০। ফোন : ০১৩১৬১৮৬৯৪০, ই-মেইল : [email protected], বিজ্ঞাপন: [email protected], নিউজরুম: [email protected] © ২০২৩ রাইজিং কুমিল্লা সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত। | Design & Developed by BDIGITIC