জননিরাপত্তা, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে মিস আর্থ বাংলাদেশ ২০২০ বিজয়ী ও মডেল মেঘনা আলমকে ৩০ দিনের জন্য কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সেফাতুল্লাহ বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) রাতে এই আদেশ দেন।

আদালতের আদেশে বলা হয়েছে, ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২ (এফ) ধারার জননিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা বিরোধী ক্ষতিকর কার্যকলাপ থেকে বিরত রাখা এবং আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে এই আটকাদেশ দেওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে স্বাক্ষরিত এই আদেশ অনুযায়ী মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তারের তারিখ থেকে ৩০ দিনের জন্য কারাগারে আটক রাখা হবে। পরবর্তীতে তাকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ডিবি পুলিশ বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে দশটায় মেঘনা আলমকে আদালতে হাজির করে। শুনানি শেষে আদালত এই আদেশ দেন।

এর আগে, বুধবার সন্ধ্যায় ফেসবুকে লাইভ চলাকালীন মেঘনা আলম অভিযোগ করেন যে, পুলিশ পরিচয়ে কয়েকজন ব্যক্তি তার বাসার দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন এবং সঙ্গে সঙ্গেই লাইভটি বন্ধ হয়ে যায়। ১২ মিনিটের বেশি সময় ধরে চলা ওই লাইভ ভিডিওটি পরবর্তীতে মুছে ফেলা হয়।

উল্লেখ্য, ডিটেনশন আইন অনুযায়ী সরকার কোনো ব্যক্তিকে আদালতের আনুষ্ঠানিক বিচার ছাড়াই নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আটক বা বন্দি করতে পারে। সাধারণত জননিরাপত্তা, রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে এই ধরনের আইন প্রয়োগ করা হয়।

মেঘনা আলম ২০২০ সালের ৫ অক্টোবর মিস আর্থ বাংলাদেশ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন। পরিবেশ রক্ষায় পরিত্যক্ত প্লাস্টিক ব্যবহার করে নতুন পণ্য তৈরি এবং বিক্রির মাধ্যমে নারী উদ্যোক্তা তৈরির মাধ্যমে নারীদের স্বাবলম্বী করার উদ্যোগে তিনি এই খেতাব অর্জন করেন।