
মাংস বা দই কম দেওয়া কিংবা যৌতুকের কারণে বিয়ে ভেঙে যাওয়ার খবর প্রায়ই শোনা যায়। তবে এবার উত্তরপ্রদেশের আগ্রায় ঘটল এক নজিরবিহীন ঘটনা, যা স্তম্ভিত করেছে সবাইকে। বিয়ের অনুষ্ঠানে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের (এসি) ব্যবস্থা না থাকায় ক্ষুব্ধ হয়ে বিয়ে ভেঙে দিলেন এক কনে।
গত শনিবার (৭ জুন) আগ্রার শামশাবাদ শহরে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে। ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, বরপক্ষ এমন একটি কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল যেখানে কোনো শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা ছিল না।
শুরুতে এই বিষয়টি নিয়েই দুই পক্ষের মধ্যে তীব্র বাদানুবাদ শুরু হয়। কনে দাবি করেন, গরমে হাঁসফাঁস করা পরিবেশে বিয়ে করা তাঁর পক্ষে অসম্ভব। তিনি বরপক্ষকে দ্রুত অনুষ্ঠানস্থলে এসি লাগানোর কথা বলেন। কিন্তু বরপক্ষ তাতে কর্ণপাত করেনি। একপর্যায়ে কনের পরিবার বরপক্ষের বিরুদ্ধে যৌতুকের অভিযোগ এনে পুলিশের দ্বারস্থ হয়।
পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে, কনে মণ্ডপ ছেড়ে চলে যান এবং বিয়েতে অস্বীকৃতি জানান। কনে স্পষ্ট জানান, এমন পরিস্থিতিতে বিয়ে করা তার জন্য অসম্মানের হবে। এছাড়াও, বরপক্ষের আত্মীয়রা তার এবং তার পরিবারের সঙ্গে যে দুর্ব্যবহার করেছেন, তাতে ভবিষ্যতে তার জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
খবর পেয়ে স্থানীয় পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। শামশাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার এবং বিয়েটি সম্পন্ন করার জন্য মধ্যস্থতার চেষ্টা করেন। কিন্তু কনে তার সিদ্ধান্তে অটল থাকেন এবং কোনোভাবেই বিয়ে করতে রাজি হননি। কনের পরিবারের একজন আত্মীয় বলেন, “আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বিবাদ মেটানোর চেষ্টা করা হলেও পরিস্থিতি ততক্ষণে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল।”
এই ঘটনা আবারও বুঝিয়ে দিল যে, সম্পর্কের ক্ষেত্রে পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং সম্মান কতটা অপরিহার্য। একটি ছোট বিষয়কে কেন্দ্র করে এমন একটি বড় সিদ্ধান্ত অবাক করেছে অনেককেই।