মে ১২, ২০২৫

সোমবার ১২ মে, ২০২৫

বিকল্প দেশ থেকে ‘পেঁয়াজ ও আলু’ কেনার কথা ভাবছে বাংলাদেশ!

Potatoes and onions
ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘ কয়েক দশক পর পাকিস্তানের কাছ থেকে ২৫ হাজার টন চিনি কিনেছে বাংলাদেশ। এবার ভারতকে বাদ দিয়ে অন্য দেশ থেকে আলু ও পেঁয়াজ কেনার কথা ভাবছে বাংলাদেশ। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া ডটকম বলছে, এই সিদ্ধান্ত নয়াদিল্লির জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

এই দুটি পণ্য কেনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এতোদিন নির্ভরশীল ছিল ভারতের ওপরেই।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া.কম।

বাংলাদেশ সম্প্রতি পাকিস্তান থেকে ২৫ হাজার টন চিনি আমদানি করেছে। এর ধারাবাহিকতায় আলু ও পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রেও ভারতকে ছেড়ে নতুন সরবরাহকারী খুঁজছে দেশটি। বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি) ইতোমধ্যে সম্ভাব্য বিকল্প উৎস হিসেবে চীন, তুরস্ক, জার্মানি, মিসর এবং স্পেনকে চিহ্নিত করেছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম উদ্দিন জানিয়েছেন, “বিটিটিসি বিকল্প উৎস চিহ্নিত করেছে। আমরা আমদানিকারকদের এই বিকল্পগুলো বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছি।”

ইন্ডিয়া ডটকমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভারত থেকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি হয়েছে প্রায় ৭.২৪ লাখ টন, যার মূল্য ১৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

বাংলাদেশের এই পদক্ষেপ ভারতীয় বাজারে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে, বাংলাদেশের বাণিজ্য অংশীদারিত্ব ভারতের কৃষিপণ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

ভারত ছাড়াও পাকিস্তান, চীন এবং তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ সরকার আশা করছে, এই সিদ্ধান্ত দেশের বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে সহায়তা করবে।

বাংলাদেশ কেন এই পদক্ষেপ নিচ্ছে সেটিও উল্লেখ করেছে সংবাদমাধ্যমটি।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, কর্মকর্তারা এই পদক্ষেপের পেছনে প্রাথমিক কারণ হিসাবে “ভারতীয় বাজারে পেঁয়াজ এবং আলুর ক্রমবর্ধমান দাম” এবং (বাংলাদেশে) “রপ্তানি নিরুৎসাহিত করার জন্য ভারতীয় কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত” উল্লেখ করেছেন।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশি কর্মকর্তারাও দাম বৃদ্ধিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে।

আরও পড়ুন