
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে হতে পারে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই জোর প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। দলীয় সূত্রে বলছে, এবার মনোনয়নের ক্ষেত্রে কঠোর নীতি অনুসরণ করা হবে।
বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে, প্রার্থী মনোনয়নে তিনটি মৌলিক যোগ্যতাকে অন্যতম মানদণ্ড হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
প্রথমত, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াই-সংগ্রামে দেশ ও দলের জন্য যে প্রার্থী সবচেয়ে বেশি ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
দ্বিতীয়ত, সততার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং এলাকার জনগণের কাছে একজন ভালো মানুষ হিসেবে সুপরিচিত প্রার্থীরা বিবেচিত হবেন।
তৃতীয়ত, ভোটের রাজনীতিতে যিনি তার নির্বাচনী এলাকায় সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়, তিনিই পাবেন দলের টিকিট।
দলীয় সূত্র আরও বলছে, ২০০১, ২০০৮ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের বর্তমান অবস্থানও পর্যালোচনা করা হবে। তবে মনোনয়নের ক্ষেত্রে তরুণ প্রার্থীরা অগ্রাধিকার পেতে পারেন বলে জানা গেছে। পাশাপাশি দলের বৃহত্তর স্বার্থ বিবেচনা করে নবীন-প্রবীণের চমৎকার সমন্বয় ঘটিয়ে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হবে।
অপরদিকে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পরিবার থেকে একাধিক প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। এছাড়া, মিত্র দলগুলোর জন্য কিছু আসন সেক্রিফাইস করবে। থাকবে নানান চমকও।
এ প্রসঙ্গে বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি গণমাধ্যমকে বলেন, “বিএনপি একটি বড় রাজনৈতিক দল। অনেকে প্রার্থী হতে চান। এক্ষেত্রে দল প্রথমে যেসব প্রার্থীর জনগণের সঙ্গে বেশি সম্পর্ক থাকবে, তাকেই মূল্যায়ন করবে। পাশাপাশি ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন, দলের দুর্দিনে ত্যাগ ও দলের প্রতি যাদের আনুগত্য রয়েছে – এমন প্রার্থীদেরও মূল্যায়ন করবে।”
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, বিগত দিনে বিশেষ করে শেখ হাসিনার সাড়ে ১৫ বছরের ‘দুঃশাসনকালে’ যেসব দল ও জোট তাদের সঙ্গে আন্দোলন-সংগ্রামে ছিল, রাজপথের সেই সঙ্গীদের জন্য আসন ছাড়বে বিএনপি। আলাপ-আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমে একসঙ্গে নির্বাচনী মাঠে থাকার চিন্তা করছে দলটি। এজন্য কোন আসনে কোন দলকে ছাড় দেওয়া যেতে পারে, মাঠপর্যায় থেকে সেসব তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে নিজ দলীয় প্রার্থীদের পাশাপাশি মিত্র রাজনৈতিক দলের প্রার্থীর জনপ্রিয়তাও যাচাই করছে দলটি।