সোমবার ২৭ অক্টোবর, ২০২৫

বিএনপির নতুন কর্মসূচি: রোব ও সোমবার গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ

রাইজিং ডেস্ক

Bangladesh Nationalist Party (BNP)
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল। গ্রাফিক্স: রাইজিং কুমিল্লা

আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন বর্জন এবং সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের এক দফা দাবিতে নতুন কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপি। রোববার (৩১ ডিসেম্বর) ও পরদিন সোমবার আবারও গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করবে দলটি।

শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, সরকারের পদত্যাগের একদফার আন্দোলন এখন বেশি ত্বরান্বিত হচ্ছে। প্রতিটি জনগণ আমাদের কর্মসূচিতে সমর্থন দিচ্ছে। নেতাকর্মীরা হাটে-মাঠে, খেতে-খামারে বাজারে-শপিংমলে জনগণকে আমরা লিফলেট দিয়েছি। তারা আমাদের কথা শুনেছেন এবং সমর্থন দিচ্ছেন।

কিন্তু অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলন বাধাগ্রস্ত করতে সরকার ২০১৩-১৪-১৫ সালে যেভাবে ষড়যন্ত্র করেছে সেটাই আবারও করছে। পুলিশ হয়রানি করছে, গ্রেপ্তার ও মামলা দিচ্ছে।

রিজভী বলেন, শুধু একজন ব্যক্তির সর্বময় ক্ষমতাধর হওয়ার ইচ্ছার কারণে আজ সারাদেশকে নৈরাজ্যের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে সরকার। অথচ একাত্তর সালের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক মুক্তির চেতনা। কিন্তু আজকে দেশের মানুষ আতঙ্কের মাঝে দিন পার করছে। দেশে ফ্যাসিবাদের উত্থান ঘটেছে এবং নারকীয় প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। চারদিকে পুলিশ-র‌্যাব ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর রাজত্ব চলছে। বাড়ি থেকে লোকজনকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। নারীদের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করছে। গ্রেপ্তার করলেও কোনো তথ্য দিচ্ছে না।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর হিংসার মাত্রা বেড়েই চলছে। তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে জিঘাংসামূলক বক্তব্য দিয়েছেন, যা মিথ্যা এবং কাল্পনিক। তিনি রাজনীতির নীতিনৈতিকতাকে মানছেন না। তারেক রহমান ও জিয়া পরিবারকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যে ধরনের বক্তব্য দেন তা মিথ্যা ও কটূক্তিমূলক। কোনো দেশের প্রধানমন্ত্রী এ ধরনের বক্তব্য দিলে সে দেশের জনগণের শালীনতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়। আমি তার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

এ ছাড়াও সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে ভোট বর্জনে লিফলেট বিতরণকালে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও মিথ্যা মামলায় হয়রানির নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়ে রিজভী বলেন, ২৪ ঘণ্টায় ১৫০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার, ৬টি মামলায় ৪২৯ জনের বেশি আসামি করা হয়েছে।

জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বয়কটের পর এখন ভোটারদের কেন্দ্রবিমুখ করাই মূল লক্ষ্য বিএনপির। সাধারণ মানুষকে ভোটে নিরুৎসাহিত করতে সব ধরনের চেষ্টা করবে দলটি। ভোটদানে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে সারা দেশে ১ কোটির বেশি লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। পাশাপাশি ভার্চুয়াল মাধ্যমেও নানা কৌশলে ভোট বর্জনের প্রচার অব্যাহত রয়েছে। জনসংযোগের নানামুখী পদক্ষেপের পাশাপাশি দাবি আদায়ে কঠোর আন্দোলনও অব্যাহত রাখা হবে।

নির্বাচন কমিশনের তফশিল অনুযায়ী আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই হিসাবে ভোটগ্রহণের আর বাকি মাত্র ৮ দিন।

আরও পড়ুন