
কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কে গতো সোমবার (৩১ মার্চ) গভীর রাতে এক রোমহর্ষক ঘটনা ঘটেছে। ঢাকা থেকে নোয়াখালীগামী একুশে পরিবহনের একটি বাসকে ৮-১০টি মোটরসাইকেল ধাওয়া করে থামানোর চেষ্টা করে এবং চলন্ত বাসে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এই ঘটনায় বাসচালক গুরুতর আহত হয়েছেন।
উক্ত ঘটনাকে বাস ডাকাতির চেষ্টা শিরোনামে বিভিন্ন মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে।
তবে পুলিশের অনুসন্ধানে উঠে আসে ভিন্ন কথা। আজ রোববার (৬ এপ্রিল) বাংলাদেশ পুলিশ উক্ত ঘটনায় গণমাধ্যমে এক বিবৃতি দিয়েছেন।
পুলিশের অনুসন্ধান করে জানায়, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বর্ণিত একুশে পরিবহনের বাস ও একটি জোনাকি বাস ঢাকা-কুমিল্লা মহাসড়কে কুমিল্লা পদুয়ারবাজার বিশ্বরোড সংলগ্ন রাস্তায় ওভারটেক করার সময় অজ্ঞাতনামা একটি মোটরসাইকেল আরোহীকে চাপ দেয়ার উপক্রম হলে তিনি ও তার সাথে থাকা আরো অনুমান ৮/১০ টি মোটরসাইকেল আরোহী একুশে পরিবহনের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে বাসটিকে থামাতে বলে। কিন্তু বাস চালক বাস না থামিয়ে দ্রুত গতিতে নোয়াখালীর দিকে আসতে থাকে।
পুলিশ আরও জানায়, গভীর রাত ও রাস্তা ফাঁকা থাকার কারণে বাসে থাকা যাত্রীরাও বাস চালককে বাস থামাতে নিষেধ করে। ইতোমধ্যে কয়েকটি মোটর সাইকেলের আরোহী দ্রুতগতিতে বাসটিকে ওভারটেক করে বাসটিকে বার বার থামাতে বলে। কিন্তু বাস চালক বাস না থামানোয় মোটরসাইকেল থেকে ইটের টুকরো ছুঁড়ে মারলে বাসের সামনের গ্লাস ভেঙ্গে বাস চালক মোঃ সোহেল আঘাত প্রাপ্ত হয়। তখন বাসে থাকা একজন যাত্রী জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল করে পুলিশের সহযোগিতা চান।
পুলিশ সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক বেগমগঞ্জ চৌরাস্তা এলাকায় পৌঁছলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কয়েকটি মোটরসাইকেল চৌরাস্তা হতে ঘুরিয়ে দ্রুত বেগে সোনাইমুড়ী-লাকসাম অভিমুখে চলে যায় মর্মে জানা যায়। উক্ত স্থানে বর্ণিত বাসটিকে পাওয়া যায়নি।
পরবর্তীতে জানা যায় যে, বাস চালক বাস নিয়ে মাইজদী চলে আসেন। বাস চালক বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। উক্ত ঘটনাকে “চলন্ত বাসে ডাকাতির চেষ্টা” বলে কিছু মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে, যা সঠিক নয়।
এ ঘটনায় পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।