
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম আওয়ামী লীগকে ‘নিষিদ্ধ ঘোষিত’ দল হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, “আগামী ১৩ নভেম্বরকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ এক ধরনের বিশৃঙ্খলা এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রম করার চেষ্টা করছে। এখন পর্যন্ত সারাদেশে ৭টি বাসে আগুন দিয়েছে। একজনকে হাতেনাতে ধরা হয়েছে ডেমরা এলাকায়, তার বাড়ি গোপালগঞ্জে। এছাড়াও ময়মনসিংহে একজন বাসচালককে ঘুমন্ত অবস্থায় আগুনে পুড়িয়ে মেরেছে।”
তিনি বলেন, “সবগুলো নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের কাজ। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ প্রমাণ করেছে কেন তাদের নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ টেরোরিস্ট দল।”
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কুলিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রেস সচিব বলেন, “নির্বাচনের কাউন্টডাউন শুরু হয়েছে। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন।” তিনি দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে বলেন, “আমাদের কথা হচ্ছে- নিশ্চিত থাকুন, খুব সুন্দর একটা নির্বাচন হবে। খুব সুন্দর একটা ইলেকশন দেখতে পাবেন। যেটা ফ্রি হবে এবং ফেয়ার হবে। এক্সক্লুসিভ হবে। সমস্ত জনগণ যেখানে অংশগ্রহণ করবে। খুবই উৎসবমুখর পরিবেশে ইলেকশন হবে।”
শফিকুল আলম বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতভেদ স্বাভাবিক, তবে তিনি এটিকে গুরুতর মনে করছেন না। তিনি বলেন, “যারা পলিটিক্যাল পার্টি, যারা ঐক্যমত কমিশনের সঙ্গে কথা বলেছেন, তারা নয় মাস ধরে খুব সুন্দরভাবে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে ইতিহাসের সবচেয়ে বৃহত্তম আলোচনা করেছেন। আমরা আশা করছি, তাদের মধ্যে কিছু কিছু বিষয়ে যে মতবিরোধ, সেটা নিয়ে ঐক্যমত হবে।”
নির্বাচনমুখী দলগুলোর কথা উল্লেখ করে প্রেস সচিব বলেন, “সবাই কিন্তু নির্বাচনের জন্য প্রিপারেশন নিয়েছে। অলরেডি বিএনপি ২৩৭টা আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে, পাশাপাশি জামায়াতও বিভিন্ন জায়গায় প্রার্থী ঘোষণা করেছে। বড় বড় দলগুলো নির্বাচনমুখী। আমরা ভালো একটা নির্বাচন দেখব।”
কুলিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন মজুমদারের সভাপতিত্বে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জামাল হোসেনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।









