
বারাকা নারী ডিআইসি-এর উদ্যোগে আজ বুধবার ( ২৫জুন২০২৫) গাজীপুরের টঙ্গীর নতুনবাজার নারী ডিআইসি কার্যালয়ে দ্বিতীয়বারের মত ‘সুরক্ষা কমিটির’ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বারাকা সহকারী মাঠকর্মকর্তা সুলতানা আকতার-এর সঞ্চালনায় সভাটি পরিচালিত হয়। শুরুতে গত সভার প্রতিবেদন ফলোআপ করা হয়। এরপর বারাকা নারী ড্রপ-ইন সেন্টারের প্রজেক্ট অফিসার গরেট্টি রত্না পেরেরা ”সুরক্ষা কমিটি” গঠনের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য,কার্যক্রম এবং গঠনতন্ত্র সকলের উদ্দেশ্যে তুলে ধনের ।
স্কুল শিক্ষক মিসেস ফারজানা জেসমিন এর প্রস্তাবনায় ও উপস্থিত সকলের সমর্থনে সুরক্ষা কমিটির গঠনতন্ত্রটি গৃহীত হয়। উপস্থিত সকলেই স্বেচ্ছা প্রণোদিত ভাবে একযোগে নারী ও শিশুদের সুরক্ষায় কাজ করবে বলে একমত প্রকাশ করেন।
উক্ত সভায় সকলের মতামতের ভিত্তিতে সমাজিক দলের নেত্রী মিসেস রত্না বেগমকে সুরক্ষা কমিটির সভানেত্রী এবং জাতীয় সাংবাদিক সোসাইটির মহাসচিব নাসির উদ্দিন বুলবুল কে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচন করা হয়।
কমিটি গঠনের পূর্বে উক্ত সভায় নিম্নে উল্লেখিত বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। সরকারিভাবে যে প্রতিষ্ঠান নারী ও শিশুদের অধিকার নিয়ে কাজ করে তাদের খুঁজে বের কারা প্রয়োজনে তাদের সাহায্য নেওয়া।
টঙ্গী পূর্ব থানার সাথে যোগাযোগ আরও বৃদ্ধি করা,সম্ভব হলে নারী ও শিশু ডেস্ক থেকে এক জন প্রতিনিধিকে এই কমিটিতে রাখা, প্রয়োজনে কমিটির কয়েক জন একসাথে গিয়ে এই কমিটি সম্পর্কে তাদের অবগত করানো। এই কমিটির লিস্ট তৈরি করে থানার ইনচার্জকে প্রদান করা।
এলাকায় কমিটির সদস্যকে সাহস/শক্তি দেওয়ার জন্য সাব কমিটি গঠন করা যেতে পারে। এতে কাজ আরও জুড়ালো হবে।
টঙ্গী এলাকায় মাদকের ভয়াবহতা অনেক এবং অতি সহজলভ্য তাই মাদক সম্পর্কে যারযার অবস্থান থেকে সচেতন করা।কমিটির সদস্যদের নিয়ে একটি গ্রুপ তৈরি করা। যে গ্রুপের মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে যেকোন তথ্য আদান প্রদান করা সম্ভব হবে ।
বারাকা ফিমেল ডিআইসি যে সকল এলাকায় কাজ করে সে এলাকায় একটি করে সাব কমিটি/দল(৩ সদস্য বিশিষ্ট) তৈরি করা যারা সুরক্ষা কমিটিকে সহায়তা করবে।
পরিশেষে প্রজেক্ট অফিসার গরেট্টি রত্না পেরেরা উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ দিয়ে সকলের সহযোগিতা কামনা করে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন ।
সুরক্ষা কমিটি:
নারী ও শিশুদের প্রতি সংঘটিত যেকোন ধরনের সহিংসতা, বৈষম্য, শোষণ, নির্যাতন, অন্যায্য ইত্যাদি থেকে তাদেরকে রক্ষা করার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করাই হলো সুরক্ষা কমিটির মৌলিক ধারণা। এটি এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে নারী ও শিশুদের কল্যাণ নিশ্চিত করা হবে। এ কাজটি বাস্তবায়নের জন্য একটি অপ্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো হলো সুরক্ষা কমিটি।
সুরক্ষা কমিটির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য: ১.ঝুঁকিপূর্ণ নারী ও শিশুদের সকল ধরনের নির্যাতন থেকে সুরক্ষা প্রদান করা। ২.নারী ও শিশু সুরক্ষা বিষয়ে গণসচেতনতা বৃদ্ধি করা। ৩. নারী ও শিশু নির্যাতনকারীর বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা।