সরকার পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট এবং সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি করায় আবারও বাড়ছে সিগারেটের দাম। এটা ধূমপায়ীদের জন্য মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ধূমপান স্বাস্থ্যের পাশাপাশ আর্থিক ক্ষতিও ডেকে আনছে। এখনই সময় ধূমপান ছেড়ে দেওয়া। তবে একজন ধূমপায়ীর জন্য ধূমপান ছেড়ে দেওয়া সহজ নয়। সিগারেট ছাড়ার আগে থেকেই একটা মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে রাখা জরুরি। অনেকেই সিগারেট ছেড়ে দেওয়ার পরেও ফের ধূমপান করতে শুরু করেন। ধূমপানে আসক্ত মানুষটি সিগারেটের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। এই নির্ভরশীলতা কাটাতে হয়।
সবার আগে নিজেকে বোঝান, যেভাবেই হোক সিগারেট ছাড়তে হবে। এর জন্য নিজেকেই নিজে প্রস্তুত করতে হবে। একটা নির্দিষ্ট তারিখ ঠিক করে রাখুন্ ওই তারিখ থেকে সিগারেট খাবেন না।
তাছাড়া আজকের প্রতিবেদনে রয়েছে কিছু টিপস যা আপনাকে ধূমপান থেকে বিরত থাকতে সাহায্য করবে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য ওঠে আসে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক-
একটা নির্দিষ্ট তারিখ ঠিক করুন: আজই সিদ্ধান্ত নিন যে আপনি কোন তারিখ থেকে সিগারেট খাবেন না।
প্রথম দিন: আজই একদিনের জন্য ধূমপান না করে দেখুন। এরপর দুইদিন, তিনদিন ধূমপান থেকে দূরে থাকুন। তাহলে অভ্যাস গড়ে উঠবে।
সঙ্গ পান: আপনার আশপাশে যারা ধূমপান বর্জন করেছে তাদের অনুসরণ করুন।
হিসাব করুন: সিগারেটের জন্য প্রতি মাসে কত টাকা খরচ হয়, তা হিসাব করে দেখুন। সে টাকা জমিয়ে অন্য খাতে খরচ করতে পারেন।
বন্ধুদের সঙ্গ এড়িয়ে চলুন: ধূমপায়ী বন্ধুদের সঙ্গ সুকৌশলে এড়িয়ে চলুন।
মুখে চুইংগাম বা আদা চিবান: ধূমপানের প্রতি আকর্ষণ কমাতে মুখে চুইংগাম কিংবা আদা চিবোতে পারেন।
রাস্তায় হাঁটুন: ধূমপান করতে ইচ্ছা হলে রাস্তায় হাঁটুন।
ধূমপান কর্নার থেকে দূরে থাকুন: যে কোন জায়গায় ধূমপান কর্নার থেকে দূরে থাকুন।
বই পড়ুন: ধূমপান বিরোধী এবং স্বাস্থ্য সচেতনতার বই পড়তে পারেন।
চিকিৎসকের পরামর্শ নিন: নিরুপায় হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে কাউন্সেলিং-এর সহায়তা নিতে পারেন।