বাংলাদেশ আর্মি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি (বাইউস্ট), কুমিল্লায়- যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৪ উদযাপিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সূর্যোদয়ের সাথে সাথে বাইউস্টের প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়।
সকাল সাড়ে ১০ টায় বাইউস্ট অডিটোরিয়ামে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৪ উদযাপন অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। পবিত্র কুরআনুল কারীম থেকে তিলাওয়াতের মাধ্যমে উক্ত অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর, জাতীয় সংগীত পরিবেশিত হয় এবং মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে প্রদত্ত মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং সেনাবাহিনী প্রধানের বাণী পাঠ করা হয়।
অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর কর্তৃক নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র ‘মুজিবনগর: বাংলাদেশের প্রথম রাজধানী’ এবং বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নির্মিত ডকুড্রামা ‘অসমাপ্ত মহাকাব্য’ প্রদর্শিত হয়।
বাইউস্ট কর্তৃক আয়োজিত মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৪ উদযাপন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. হাবিবুল হক পিএসসি, পিএইচডি।
সভাপতির বক্তব্যে- বাইউস্ট পরিবারের সকলকে তিনি মহান স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানান।তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার রূপকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও স্বাধীনতা যুদ্ধের সকল শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
তিনি বলেন- বঙ্গবন্ধু তার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বীজ বপন করেন। তারই ধারাবাহিকতায় ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর আমরা চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করি। তিনি বলেন- আমাদের নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেমে উজ্জীবিত করতে স্বাধীনতার ইতিহাস জানাতে হবে।
তিনি তার বক্তব্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়ন এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাইউস্ট পরিবারের সকল সদস্যের সক্রিয় অংশগ্রহণের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- বাইউস্টের ট্রেজারার কর্নেল প্রফেসর মো. মোশাররফ হোসেন মিয়া (অব.), রেজিস্ট্রার কর্নেল মো. বদরুল আহসান, পিএসসি (অব.), বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ, বিভাগীয় প্রধানগণ, শিক্ষকবৃন্দ, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও উপস্থিত শিক্ষার্থীবৃন্দ।
অনুষ্ঠান শেষে যোহর সালাতের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদে শহীদদের মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনায় বিশেষ দোয়া ও মুনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।