প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ কোনো সংঘাত চায় না। সব সময় শান্তি চায়। কোনো অস্ত্র প্রতিযোগীতাও চায় না। জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবসের অনুষ্ঠানের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সোমবার (২৯ মে) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দিবসের অনুষ্ঠানে সকাল ১১টায় পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবসে পাঁচ শহীদ শান্তিরক্ষী পরিবার ও ৫ আহত শান্তিরক্ষী সম্মাননা প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘একটি শান্তিপূর্ণ টেকসই পরিবেশ জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনে সহায়ক এবং সকলকে এটি মনে রাখতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “অস্ত্র প্রতিযোগিতা আমরা চাই না। সংঘাতের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় নারী ও শিশু। বাংলাদেশ সব সময় শান্তিতে বিশ্বাস করে। শান্তির জন্য যা যা করার দরকার, বাংলাদেশ তাই করবে।”
শেখ হাসিনা আরও বলেন, “শুধু বিশ্ব শান্তি রক্ষা নয়, নিজের দেশেও শান্তি-শৃঙ্খলা নিশ্চিত করছি আমরা। ২০০৮ সালের পর থেকে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে এবং স্থিতিশীল শান্তিপূর্ণ পরিবেশ আছে বলেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। স্থিতিশীল ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশই পারে একটি দেশকে উন্নয়নশীল করতে। আমরা চাই, ২০৪১ সালের মধ্যে এই বাংলাদেশ হবে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। সে জন্য স্থিতিশীল শান্তিপূর্ণ পরিবেশ প্রয়োজন।”
পরে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের দক্ষতা, পেশাদারিত্ব, সাহস, নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনের আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, যেকোন সংঘাতময় পরিস্থিতি সংঘাতের মাধ্যমে নয়, আলোচনার মাধ্যমে সমাধান সম্ভব।
এর আগে অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড, এ কে আব্দুল মোমেন, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম সফিউদ্দিন আহমেদ বক্তব্য রাখেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইনশাআল্লাহ, এদেশে কোনো মানুষ দরিদ্র, গৃহহীন বা ভূমিহীন থাকবে না। প্রতিটি মানুষ অন্তত তাদের মৌলিক অধিকার-খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা ও বাসস্থান পাবে। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।’
উল্লেখ্য, ২০০৩ সাল থেকে ২৯ মে থেকে বিশ্বব্যাপী জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবস পালন হয়ে আসছে। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষার এই কর্মসূচিতে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি সংখ্যক শান্তিরক্ষী সদস্য পাঠিয়ে অংশ নেয়।