বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও সহযোগিতায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে।
আজ বুধবার (৬ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সৌদি বিনিয়োগমন্ত্রী খালিদ এ আল-ফালিহের মধ্যে ঢাকায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সন্তোষ প্রকাশ করা হয়। পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৌদি মন্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশে স্বাগত জানান।
তিনি বলেন, সৌদি আরব বাংলাদেশের বন্ধু ও মিত্র দেশ। দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও সহযোগিতা সুদীর্ঘকাল ধরে ঐতিহাসিকভাবে গভীর ও মজবুত।
সৌদি মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে গত দেড় দশকে বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নয়ন বিশেষ করে নারী উন্নয়নের প্রশংসা করেন। তিনি বাংলাদেশে বেসরকারি খাতের দ্রুত প্রবৃদ্ধিরও প্রশংসা করেন।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে সৌদি আরবের বিনিয়োগ প্রত্যাশা করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি উদীয়মান বাজার এবং এখানে বিনিয়োগের জন্য অনেক সুযোগ রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আকওয়া পাওয়ার গত বছর বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের সাথে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। এই সমঝোতা স্মারকের আওতায় আকওয়া পাওয়ার বাংলাদেশে ১,০০০ মেগাওয়াট সৌর ফটোভোলটাইক শক্তি উৎপাদনের প্রস্তাব দিয়েছে।
তিনি বলেন, ১,০০০ মেগাওয়াট লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে, আকওয়া পাওয়ার এবং পাওয়ার বিভাগ রামপালে ৩শ’ মেগাওয়াট সোলার ইলেকট্রিক ইউনিটে একটি যৌথ অংশীদারিত্বের প্রকল্পে কাজ করছে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ২শ’ মেগাওয়াট প্রকল্পের জন্য পায়রা বন্দরে ৬শ’ একর জমি বরাদ্দ করেছে, আকওয়া পাওয়ার এ বিষয়ে কাজ করছে।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ও সৌদি মন্ত্রী ফিলিস্তিন ইস্যু এবং গাজায় মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টিকারী পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে ফিলিস্তিনে সহায়তা পাঠিয়েছে।
সৌদি বিনিয়োগমন্ত্রী খালিদ এ আল-ফালিহ প্রধানমন্ত্রীকে সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ এবং ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের শুভেচ্ছা জানান।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মো. জিয়াউদ্দিন এবং নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।