সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪

রবিবার ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

বাংলাদেশিদের কিডনি অপসারণ, দিল্লিতে নারী চিকিৎসক গ্রেফতার

Surgery
প্রতীকি ছবি/সংগৃহীত

সেবার মান ভাল এবং খরচ বিবেচনায় প্রতিদিনই চিকিৎসার জন্য বহু মানুষ বাংলাদেশ থেকে ভারত যান। এর মধ্যে অনেকেই প্রতারিত হন বিভিন্ন দালাল দ্বারা। আবার কেউ কেউ অভিযোগ তোলেন হাসপাতাল কিংবা চিকিৎসকের ওপর।

এবার বাংলাদেশ ও ভারতের কিডনি পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ডা. বিজয়া কুমার (৫০) নামে নয়াদিল্লি-ভিত্তিক ইন্দ্রপ্রস্থ অ্যাপোলো হাসপাতালের এক নারী চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে দিল্লি পুলিশ।

গতকাল মঙ্গলবার (৯ জুলাই) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই নারী চিকিৎসক রাজধানীর সংলগ্ন নয়ডা শহরে ‘যথার্থ’ নামের একটি হাসপাতালে অপারেশনের নামে অন্তত ১৫ থেকে ১৬ জন ব্যক্তির কিডনি সরিয়েছেন। কিডনি পাচারকারী দলের সদস্য হিসেবে এসব অপারেশন করেছেন তিনি। যাদের কিডনি তিনি সরিয়েছেন, তাদের অধিকাংশই বাংলাদেশের নাগরিক। ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের বিভিন্ন সময়ের মধ্যে হয়েছে এসব অপারেশন।

দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সক্রিয় এই চক্র মধ্যবর্তী ব্যক্তি বা দালালদের মাধ্যমে দরিদ্র বাংলাদেশিদের অর্থের লোভ দেখিয়ে নয়াদিল্লির আশপাশের কিছু হাসপাতালে নিয়ে আসত। সেসব হাসপাতালে চক্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা বাংলাদেশিদের কিডনি অপসারণ করতেন।

দিল্লিতে একাধিক কিডনি পাচারকারী চক্র সক্রিয়। ডা. বিজয়া কুমারি যে চক্রটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন, সেই চক্রের অধিকাংশই বাংলাদেশি। গত মাসে নয়াদিল্লি থেকে এই চক্রের তিনজন বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ।

দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, চক্রটি বাংলাদেশ থেকে আসা ভুক্তভোগীদের কিডনি অপারেশন করত এবং দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে এসব অপারেশন সংক্রান্ত বিভিন্ন ভুয়া নথি প্রদান করত। সেসব নথিও জব্দ করেছে পুলিশ।

বিশ্বের অধিকাংশ দেশের মতো ভারতেও অর্থের বিনিময়ে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিক্রি করা নিষিদ্ধ এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তবে, কোনো ব্যক্তি স্বেচ্ছায় কাউকে যদি কিডনি বা অন্য কোনো প্রত্যঙ্গ দিতে চান, তাহলে তা বৈধ। এক্ষেত্রে দাতা ও গ্রহীতার নাম-পরিচয় ও অন্যান্য তথ্য কর্তৃপক্ষকে জমা দিতে হয়।

তথ্য সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস