নভেম্বর ২৩, ২০২৪

শনিবার ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা দপ্তরে দুর্নীতি, বিল উত্তোলনের তোড়জোড়

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা দপ্তরে দুর্নীতি, বিল উত্তোলনের তোড়জোড়
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা দপ্তরে দুর্নীতি, বিল উত্তোলনের তোড়জোড়। ছবি: সংগৃহীত

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) শারীরিক শিক্ষা দপ্তরে দুর্নীতির হদিস মিলেছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ফুটবল খেলার আয়োজন না হলেও খেলার আয়োজন দেখিয়ে বিল উত্তোলনের তোরজোড়ের প্রমাণ মিলেছে। যেখানে খেলাই হয়নি সেখানে রেফারি বিল হিসেবে ব্যয় দেখানো হয়েছে ৮০ হাজার টাকা। 

অর্থ দপ্তরে খোঁজ নিয়ে এই তথ্য পাওয়া গেছে। অর্থ দপ্তরের থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী দেখা যায় আন্ত:বিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্টে রেফারির সম্মানী হিসেবে ৮০হাজার টাকা ব্যয় দেখানো হয়েছে। যেখানে রেফারি সরবরাহকারী হিসেবে দেখানো হয়েছে শারীরিক শিক্ষা দপ্তরেরই উপপরিচালক মো. নুরুল ইসলামকে।

খেলা না হলেও রেফারির খরচ দেখিয়ে নামে বেনামে এভাবে বিল উত্তোলনের তোড়জোড় করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা দপ্তর।

বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী ফাহিম আলম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে গত দুইবছরে কোন ফুটবল খেলার আয়োজন করা হয়নি। খেলার আয়োজন ছাড়া এভাবে বিল যারা করেছে তাদের অবশ্যই অসৎ উদ্দেশ্য রয়েছে। আমরা কর্তৃপক্ষের কাছে এই ঘটনার তদন্তপূর্বক যথাযথ ব্যবস্থার দাবি জানাচ্ছি সাথে সাথে ঘটনার সাথে জড়িত সকলকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

শারীরিক শিক্ষা দপ্তরের উপপরিচালক মো. নুরুল ইসলামের কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, ২০২৩-২৪ সালে কোন খেলা হয়নি এই বছর ৩০জুনের মধ্য ব্যয় না দেখালে টাকা চলে যাবে ইউজিসিতে। সেজন্য কর্তৃপক্ষের পরামর্শেই রেফারি ব্যয় হিসেবে ৮০হাজার টাকা ব্যয় দেখানো হয়েছে যা শারীরিক শিক্ষা দপ্তরের অন্যান্য কাজে ব্যয় করা হবে।

অর্থদপ্তরের উপপরিচালক সুব্রত কুমার বাহাদুর বলেন, রেফারির বিল অনেকসময় আগাম নিয়ে রাখে শারীরিক শিক্ষা দপ্তর যাতে পরবর্তীতে খেলার সময় রেফারির বিল দিতে কোন ভোগান্তি না হয়। খেলার আয়োজন ছাড়াই এই টাকা খরচ কেউ করতে পারবেন না বলে জানান তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা দপ্তরের সাবেক পরিচালক আশিক-ই-ইলাহি জানান, ২৩-২৪ অর্থবছরের টাকা ফেরত যেত তাই খেলা না হলেও রেফারি খাতে ব্যয় দেখানো হয়েছে। টাকাটা এখনো ক্যাশ হয়নি প্রসেসিংয়ের মধ্য আছে পরবর্তী উপাচার্য আসলে তারপর দপ্তরের কাজেই টাকাটা ব্যয় করা হবে।