রাজধানীর বঙ্গবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মোট ৩০৩ কোটি ৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতির হিসাব দিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) গঠিত তদন্ত কমিটি। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সব মিলিয়ে ৩ হাজার ৮৪৫টি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) বিকালে ডিএসসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের জানান, কমিটির সভাপতি ও নগর সংস্থার অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মেরীনা নাজনীন প্রতিবেদনটি মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের কাছে দাখিল করেছেন।
বঙ্গবাজারের আগুনের ঘটনায় অবকাঠামোগত ও মালামাল পুড়ে যে ক্ষতি হয়েছে তার হিসাব করা হয়েছে। এই অগ্নিকাণ্ডের পেছনে নাশকতার কোনো ইঙ্গিত তদন্ত কমিটি পায়নি। সিগারেট কিংবা মশার কয়েল থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে কমিটির ধারণা।
এদিকে, ব্যবসায়ীদের তথ্য ও ব্যয় বিশ্লেষণ করে বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স মার্কেটে আনুমানিক ২২২ কোটি টাকার মালামাল আগুনে পুড়ে যায় বলে মনে করছে ডিএসসিসির তদন্ত কমিটি। এছাড়াও মহানগর শপিং কমপ্লেক্সের মালামালের আর্থিক মূল্য ধরা হয়েছে ৫৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা। আর বঙ্গ ইসলামিয়া মার্কেট ও বঙ্গ হোমিও মার্কেটের মালামালের আনুমানিক আর্থিকমূল্য ৬ কোটি ৯৭ লাখ টাকা ধরা হয়েছে।
তদন্ত প্রতিবেদন কমিটি আরও জানান, কমিটি প্রতিবেদনে ১০টি সুপারিশ করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ডিএসসিসি এলাকায় কোনো কাঠের/টিনশেন মার্কেট না রাখা, কংক্রিট বা পাকা ভবন তৈরি করা, পর্যাপ্ত অগ্নিনিরোধক সামগ্রী রাখা, মার্কেটগুলোর ভেতরে পর্যাপ্ত ফাঁকা জায়গা সংরক্ষণ, আধুনিক বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, ওয়াটার রিজার্ভার রাখা ও নগরীতে জলাধার নিশ্চিত করা।
উল্লেখ্য, গত ৪ এপ্রিল সকাল ৬টার দিকে বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স মার্কেট ও আশপাশের এলাকায় ভয়াবহ আগুন লাগে। এতে প্রাণহানি না ঘটলেও টিন, কাঠ ও লোহার কাঠামোয় তৈরি বঙ্গবাজারের ৪টি মার্কেট (১. বঙ্গবাজার হকার্স মার্কেট, ২. গুলিস্তান হকার্স মার্কেট, ৩. মহানগর হকার্স মার্কেট এবং ৪. আদর্শ হকার্স মার্কেট) ও মহানগর শপিং কমপ্লেক্স পুড়ে যায়।