
জুলাই গণঅভ্যুত্থান প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার ওয়াশিংটন ডিসি, বাংলাদেশ দূতাবাসে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম।
উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট সদস্য,কমগ্রেসম্যান, স্টেটস ডিপার্টমেন্টের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক ও যুক্তরাষ্ট্রে থেকে গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী ও প্রবাসীরা।
স্বৈরাচারি শাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার অপ্রতিরোধ্য আন্দোলন যা বাংলাদেশে নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে। রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে শাসন ব্যবস্থার গুনগত পরিবর্তন, বৈষম্য দূরীকরণ, মানবাধিকার সংরক্ষণ এবং ন্যায্যতার ভিত্তিতে সমাজ গঠনের উদ্দেশ্যে শহীদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন তাদেরকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের উপর যে নিষ্ঠুর অত্যাচার, নিপীড়ন ও নৃশংসতা চালিয়েছেন তার প্রতিবাদ জেগে ওঠে ছাত্র-জনতা।
দীর্ঘ ১৬ বছরের দুঃশাসন, হত্যাযজ্ঞ, গুম-খুন ও দূর্নীতির কারণে মানুষ ছিল অসহায়। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বতীকালীন সরকারের উদ্দেশ্য হলো বৈষম্য দূর করে বাংলাদেশে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠা করা, যার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা শক্তিশালী হবে। তিনি আরো বলেন রাজনৈতিক মতাদর্শ ভিন্ন হলেও একটি উন্নত বাংলাদেশ নির্মাণে সকলেই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের উপর নির্মিত তথ্যচিত্র ‘শ্রাবণ বিদ্রোহ’ প্রদর্শন করা হয়। জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয় যা মানুষের মাঝে জুলাই চেতনাকে জাগ্রত রাখবে এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রামে উজ্জীবিত করবে।