
ফেনীর সোনাগাজীতে ভিডিও ধারণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে মো. সুজন (২৬) নামে এক অটোরিকশাচালককে পিটিয়ে ও কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত প্রধান অভিযুক্ত মো. মামুন, তার স্ত্রী আসমা আক্তার এবং মামুনের শাশুড়ি জুসিয়া বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নিহত সুজন সোনাগাজী উপজেলার চরদরবেশ ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ চরসাহাভিকারী গ্রামের মো. মোস্তফার ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত সুজন তার স্ত্রী ও চার বছরের মেয়েকে নিয়ে জমাদার বাজার সংলগ্ন একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। একই ভবনের পাশের কক্ষে অভিযুক্ত মামুন ও তার স্ত্রী আসমা আক্তারও বসবাস করতেন।
জানা যায়, গত রোববার (২ নভেম্বর) সকালে আসমা আক্তারের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের একটি ভিডিও সুজনের মোবাইলে ধারণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। ভিডিও ধারণের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই সেদিন রাতে মামুন ক্ষিপ্ত হয়ে সুজনের ওপর হামলা চালায়। ক্ষিপ্ত মামুন সুজনকে বেধড়ক পিটিয়ে ও ধারালো বঁটি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন।
সুজনের চিৎকারে স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত এগিয়ে আসেন এবং তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। কিন্তু অবস্থার দ্রুত অবনতি হওয়ায় তাকে ফেনী সদর হাসপাতাল হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৩টার দিকে সুজনের মৃত্যু হয়।
নিহত সুজনের ভাতিজা তারেক খান নিশ্চিত করে জানান, “সকালে মামুনের স্ত্রীর অনৈতিক সম্পর্কের ভিডিও ধারণের বিষয়টি নিয়েই রাতেই মামুন ও তার পরিবারের সদস্যরা মিলে সুজনকে হত্যা করে। প্রথমে তাকে বেধড়ক পিটিয়ে পরে ধারালো বঁটি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।”
সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, ঘটনার পরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত প্রধান আসামিসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তিনি আরও জানান, “এ ঘটনায় হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে এবং জড়িত অন্যদেরও চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।”
এদিকে, নিহত মো. সুজনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
								
								






