বৃহস্পতিবার ২৩ অক্টোবর, ২০২৫

ফেনীতে জামায়াত-বিএনপি সংঘর্ষে আহত অন্তত ১৫ জন

রাইজিং কুমিল্লা অনলাইন

ফেনীর মানচিত্র/রাইজিং কুমিল্লা গ্রাফিকস

ফেনী সদর উপজেলার ফাজিলপুর ইউনিয়নে জামায়াত ও বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার (২০ অক্টোবর) রাতে ইউনিয়নের আল-আমিন মার্কেট সংলগ্ন এলাকায় এই সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে সেনা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। পরবর্তীতে স্থানীয়ভাবে উভয়পক্ষ বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করে।

সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে জামায়াত-শিবিরের পক্ষের রয়েছেন: ফাজিলপুর ইউনিয়ন ছাত্রশিবিরের সভাপতি আরমান হোসেন, সেক্রেটারি মেহেদী হাসান, ইউনিয়ন ছাত্রশিবিরের ১ নং ওয়ার্ড সভাপতি নাজমুল হাসান, ফাজিলপুর ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি সোহরাব হাসান, ৯ নং ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি জিয়াউর রহমান এবং ইউনিয়ন শিবিরের প্রকাশনা সম্পাদক সারাফাতুল্লাহ।

অন্যদিকে, জেলা যুবদলের আহবায়ক নাসির উদ্দিন খন্দকারের দাবি, তাদের দলীয় আনোয়ার আজিম, হাসান, দুলাল, কিরণ, কামরুলসহ ৭ জন নেতাকর্মী জামায়াত-শিবিরের হামলায় আহত হয়েছেন।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ঘটনার সূত্রপাত হয় আল-আমিন মার্কেট সংলগ্ন একটি বাড়িতে মহিলা জামায়াতের ‘তালিম কর্মসূচিস্থলে’। সদর উপজেলা যুবদলের সদস্য কামরুলসহ কয়েকজন নেতাকর্মী সেখানে যান। এসময় তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে জামায়াত এবং বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে জড়ো হলে দুইপক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা, হাতাহাতি ও হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব গিয়াস উদ্দিন ও সভাপতি মীর সবুজকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা আটক করেছে বলে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে।

সংঘর্ষের পর আহতদের দেখতে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে যান জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মুফতি আবদুল হান্নান। তিনি অভিযোগ করেন, “জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের ওপর বিএনপি ও যুবদলের লোকজন অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। মহিলা জামায়াতের অনুষ্ঠান বন্ধ করার পরিকল্পনায় ব্যর্থ হওয়ায় তারা পরবর্তীতে বাজারে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে।”

তবে জেলা যুবদলের আহবায়ক নাসির উদ্দিন খন্দকার ভিন্নমত পোষণ করে বলেন, “জামায়াতের মহিলারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ধর্মের নামে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে। এতে আমাদের এক নেতা সেখানে গিয়ে তাদের এসব কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে বললে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা এসে অতর্কিত হামলা চালায়। তাদের হামলায় আমাদের দলীয় ৭ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।”

জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল অবশ্য জানান, “সেখানে যে ঝামেলা হয় তা উভয়পক্ষ বসে মীমাংসা করে।”

এ ব্যাপারে ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সামসুজ্জামান বলেন, “মহিলা জামায়াতের একটি কর্মসূচিকে ঘিরে দুইপক্ষের কথা-কাটাকাটির বিষয়ে শুনেছি। পরবর্তীতে তারা স্থানীয়ভাবে বসে বিষয়টি সমাধান করেছে বলেও জেনেছি। এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত খোঁজখবর নিচ্ছি।”

আরও পড়ুন