বগুড়ার মহাস্থান হাটে এক কেজি ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে মাত্র এক টাকায়! ক্রেতার স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেও কৃষকের মাথায় হাত। উঠছে না উৎপাদন খরচ। এতে লাভের আশায় শীতকালীন সবজির চাষ করে এখন বিপাকে কৃষক।
মহাস্থান হাটের পাইকারি বাজারে শায়েস্তা খাঁর যুগের মতোই ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ১ থেকে ৪ টাকা কেজিতে। সপ্তাহ ব্যবধানে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে সব ধরনের সবজির দাম।
মূলত উৎপাদন বৃদ্ধি ও বাজারে পর্যাপ্ত সবজি আসায় দাম একেবারে পড়ে গেছে। আবাদের খরচ না উঠলেও বাধ্য হয়ে সবজি বিক্রি করতে হচ্ছে কৃষকদের। তারা বলেন, সবজির পাইকারি বাজারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে দাম। ফুলকপি কেজিতে ১ থেকে ৪ টাকা ও মুলা বিক্রি হচ্ছে ৫ টাকা কেজি। এছাড়াও বাঁধাকপি, মিষ্টি লাউ, সিম ও বেগুনসহ সব রকমের শীতকালীন সবজি ১০ থেকে ২০ টাকা কেজির মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।
তবে মহাস্থান পাইকারি বাজারে ফুলকপি ও মুলা ১ থেকে ৫ টাকা কেজি বিক্রি হলেও পাশের খুচরা বাজারে হাত বদলেই তা বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা কেজিতে। অথচ এখানে নেই কোনো চাঁদাবাজি বা পরিবহন খরচের অজুহাত।
এদিকে ফুলকপি হালি হিসেবে নীলফামারীর সৈয়দপুরে। পাইকারি বাজারে প্রতিহালি ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১০ টাকায়! এত কম দামে বিক্রির কারণে কৃষক বা চাষির উৎপাদন খরচও উঠছে না।
সৈয়দপুরের বাইপাস সড়কের দুটি পাইকারি বাজার ঘুরে এই চিত্র মিলেছে। লোকজন নিজের এবং গরু-ছাগলকে খাওয়ানোর জন্য বস্তা ভরে কিনছেন। আর খুচরা ব্যবসায়ীরা এই বাজার থেকে সবজি কিনে গ্রামের হাটবাজারে প্রতি পিস ১০ টাকা দরে বিক্রি করছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার চৌমহনী বাজারে জটলা করে ১০ টাকা হালিতে ফুলকপি কিনে বাড়ি ফিরছেন লোকজন।