একই দিনে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার ৩ প্রবাসী মারা গেছেন। তারা হলেন সৌদিপ্রবাসী প্রকৌশলী মঈনুল ইসলাম মঈন (৪১) ও আল আমিন হোসেন (২৪) এবং ওমানপ্রবাসী মিজানুর রহমান (৫২)। এর মধ্যে দু’জন অসুস্থ হয়ে এবং একজন সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান।
গত জানুয়ারিতে উপজেলার পেরিয়া ইউনিয়নের চেহরিয়া গ্রামের মাওলানা আমির হোসেনের ছেলে মঈন সৌদি আরব যান। তিনি রিয়াদ এলাকার একটি আবাসন কম্পানিতে আইটি ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
শুক্রবার দিবাগত রাতে তিনি কাজ শেষে বাসায় ফিরে হৃদরোগে আক্রান্ত হন। সহকর্মীরা তাকে কিং ফয়সাল হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে শনিবার সকালে ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঈনের মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে মঈনের ভাতিজা মাস্টার আফজাল হোসাইন মিয়াজী ও বন্ধু সুমন জানান, মঈন দেশে দীর্ঘদিন শিক্ষকতা ও বেসরকারি কম্পানিতে কাজ করেছেন।
চার মাস আগে তিনি সৌদি আরবের একটি কম্পানিতে আইটি ম্যানেজার হিসেবে চাকরি নিয়ে প্রবাসজীবন শুরু করেন। মঈনের রুহামা নামের সাত বছরের একটি মেয়ে ও মাশরাত নামের পাঁচ বছরের একটি ছেলে রয়েছে।
এদিকে আল আমিন শনিবার গভীর রাতে জেদ্দা এলাকার বাসায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। একই রুমে থাকা অন্য প্রবাসীরা তাকে কিং আব্দুল আজিজ হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে তিনিও চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি বাঙ্গড্ডা বাজারের সালাম মোটরস স্বত্তাধিকারী আঙ্গুলখোঁড় গ্রামের আব্দুস সালামের বড় ছেলে।
এ বিষয়ে আল আমিনের বাবাব আব্দুস সালাম জানান, তিন বছর আগে তার ছেলে সৌদি আরবে গিয়ে একটি কম্পানিতে কাজ শুরু করেন। রাতে তার ছেলের শরীরে প্রচণ্ড জ্বর আসলে রুমের অন্যরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে শনিবার সকালে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
অন্যদিকে পেরিয়া ইউনিয়নের কাকৈরতলা গ্রামের মরহুম আব্দুর রহিমের ছেলে ওমানপ্রবাসী মিজানুর রহমান শনিবার গভীর রাতে মারা যান। তিনি কাজ শেষে পায়ে হেটে দারিজ এলাকার বাসায় ফেরার সময় পেছন থেকে একটি প্রাইভেট কার তাকে ধাক্কা দেয়। পরে পুলিশ এসে গুরুতর আহত মিজানকে সালালাহ এলাকার কাবুজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে মিজানুরের ভাতিজা কবির আহম্মেদ জানান, তারা চাচা মিজানুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে ওমানের সালালাহ এলাকায় কাজ করতেন। চার বছর আগে ছুটিতে দেশে এসে কয়েক মাস থেকে আবার চলে যান। তার দুই ছেলে রয়েছে।