শিক্ষকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারায় প্রক্টরিয়াল বডির অপসারণসহ চার দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টায় শিক্ষক লাউঞ্জে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে কুবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের এবং সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান শিক্ষকদের উপর হামলার ঘটনায় প্রশাসনকে যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানান। এ সময় বিভিন্ন বিভাগের প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।
তাদের দাবি চারটি হলো, ক্যাম্পাসে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, প্রক্টরিয়াল বডির অপসারণ করতে করা, যে কর্মকর্তা শিক্ষকদের উপর হামলা ও লাঞ্ছনা করেছেন তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং ঐ হামলায় জড়িত অছাত্র ও বহিরাগতদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসার ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
এর আগে সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) নবনির্বাচিত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সদস্যসহ প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষক উপাচার্য দপ্তরে সৌজন্য সাক্ষাৎকারের সময় কিছু অছাত্র, বহিরাগত ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ জাকির হোসেন কর্তৃক শিক্ষকদের উপর হামলা করে এবং বিভিন্ন অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতে দেখা যায়।
এদিকে প্রক্টরিয়াল বডি শিক্ষকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করতে পারায় ঐ দিন রাতে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন শিক্ষক সমিতির নেতারা।
উপাচার্যের কক্ষে সাবেক শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা কর্তৃক শিক্ষকদের হেনস্তার বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, শিক্ষকদের আমার কক্ষে এসে কাউকে হামলা করতে কিংবা হেনস্তা করতে আমি দেখিনি। বরং শিক্ষকরা আমাকে চারবার মারতে এসেছে। তবুও আমি শিক্ষকদের বলেছি রুমের বাহিরে কিছু হয়ে থাকলে আমাকে লিখিত অভিযোগ দিতে কিন্তু তাঁরা তা দেননি। ওনারা এখন যা বলছেন সবই রাজনৈতিক বক্তব্য।