দেশবাসীর উদ্দেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের পুলিশ জনগণের শত্রু নয়।
তিনি বলেন, একটি শক্তি পুলিশের মনোবল নষ্ট করার অপচেষ্টা করছে। যাতে বাংলাদেশ একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হয়।
বুধবার (৭ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, কোন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে যথাযথ জায়গায় অভিযোগ দিন। কিন্তু আইন নিজের হাতে তুলে নিবেন না।
শেখ হাসিনা সরকারের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। মানুষকে আয়না ঘরে আটকে রাখা হয়েছে। আজ উন্মুক্ত হয়েছে গণতন্ত্রের দ্বার, স্বাধীন হয়েছে দেশ। বাংলাদেশের ছাত্র জনতাকে অভিনন্দন।
তিনি বলেন, আপনাদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ কখনো পরাজয় মানে না, মানবে না।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা প্রিয় মানুষ স্বাধীনতার রক্ষায় কোন শর্ত মানে না। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে ২০২৪ সালে দেশের জনগণ দেখেছে এক নতুন স্বাধীনতা। দেশের চলমান অর্জনকে নষ্ট করতে ষড়যন্ত্র চলছে। ধর্ম বর্ণ পরিচয়ের ঊর্ধ্বে উঠে সকলকে নিরাপত্তা দিতে হবে।
তারেক জিয়া বলেন, যে যেখানে বসবাস করছে সেখানে ধর্মীয় পরিচয় যাইহোক না কেন সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঢাল হিসেবে দাঁড়িয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন। বাংলাদেশের ভূখণ্ডে দাঁড়িয়ে সকল জনগণের পরিচয় একটি সবাই বাংলাদেশি।
তিনি বলেন, পুলিশ জনগণের শত্রু নয়। বিনা ভোটে নির্বাচিত শেখ হাসিনা পুলিশকে জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে বাধ্য করেছে। শেখ হাসিনা পালানোর পর একটি চক্র পুলিশের মনোবল ভাঙতে চেষ্টা চালাচ্ছে। দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাচ্ছে।
বিএনপির নামে কেউ যদি অপকর্ম করতে চায় তাকেও আইনের হাতে তুলে দিন। কেউ যদি নিয়ম ভঙ্গ করে তার বিরুদ্ধেও পুলিশের কাছে অভিযোগ করুন। কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। বিচারের ভার দয়া করে নিজ হাতে তুলে নেবেন না, বলেন তিনি।