
পিআর (আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতিতে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং জুলাই সনদ ঘোষণাসহ পাঁচ দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গণমিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কুমিল্লা মহানগরী।
শনিবার বিকালে কুমিল্লা নগরীর টাউন হল মাঠে গণমিছিলপূর্ব সমাবেশে সভাপতির বক্তব্য রাখেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও কুমিল্লা মহানগরীর আমীর কাজী দ্বীন মোহাম্মদ।
বক্তব্যে কাজী দ্বীন মোহাম্মদ আগামী জাতীয় নির্বাচনে সংসদের উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি (আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) চালু করার দাবি জানান। তিনি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) নিশ্চিত করার উপর জোর দেন।
জামায়াতের এই কেন্দ্রীয় নেতা আরও দাবি করেন যে, ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করতে হবে। একই সাথে, স্বৈরাচারের দোসর হিসেবে অভিহিত করে জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার দাবিও জানান তিনি।
কাজী দ্বীন মোহাম্মদ তাঁর বক্তব্যে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে কুমিল্লা ৬ (সদর -সদর দক্ষিণ উপজেলা) আসনের সর্বস্তরের জনগণকে ন্যায়ের প্রতীক দাঁড়িপাল্লা মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার জন্য নগরবাসীর প্রতি আহবান জানান।
মহানগরী জামায়াতের সেক্রেটারী মু. মাহবুবর রহমান-এর পরিচালনায় গণমিছিল ও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মহানগরী জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মু. কামারুজ্জামান সোহেল, নাছির আহম্মেদ মোল্লা, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবির সভাপতি হাফেজ মাজারুল ইসলাম, সদর দক্ষিণ উপজেলা জামায়াতে আমীর মিজানুর রহমান এবং মহানগর ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারী নাজমুল হাসান পঞ্চায়েত।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মহানগর জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য কাজী নজির আহম্মেদ, অধ্যাপক জাকির হোসেন, দেলোয়ার হোসাইন সবুজ, অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম সহ দলের আরও অনেক নেতাকর্মী। কর্মসূচিতে দলের হাজারো নেতাকর্মী অংশ নেন।
এসময় নেতাকর্মীদেরকে “এই মুহূর্তে দরকার পিআর আর সংস্কার, পিআর পদ্ধতির নির্বাচন, দিতে হবে দিয়ে দাও, জামায়াত-শিবির জনতা, গড়ে তোলো একতা” ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
সমাবেশ শেষে মিছিলটি টাউন মাঠ থেকে শুরু হয়ে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে চকবাজার মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।









