বুধবার ১৬ জুলাই, ২০২৫

পল্লী বিদ্যুতের চোরাই তারের ব্যবসা করতেন সোহাগ: ডিএমপি

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙাড়ি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ পল্লী বিদ্যুতের চোরাই তারের ব্যবসা করতেন বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন মো. নজরুল ইসলাম।

বুধবার (১৬ জুলাই) ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) এস এন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘সোহাগ আগের সরকারের আমলে হাজী সেলিমের ভাতিজা পিল্লু কমিশনারের ছত্রচ্ছায়ায় পল্লী বিদ্যুতের চোরাই অ্যালুমিনিয়ামের তারের ব্যবসা করতেন। বিভিন্ন ফ্যাক্টরিতে তারা চোরাই তার বিক্রি করতেন, যেখানে অ্যালুমিনিয়ামের হাড়ি-পাতিল বিক্রি করা হয়ে থাকে। গত ১৭ বছর ধরে সোহাগ এই কাজ করে আসছিলেন। তবে ৫ আগস্টের পর তিনি ভোল পাল্টে এদিকে এসেছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘তবে এরই মধ্যে আরেকটা গ্রুপ এই ব্যবসায় জড়িয়ে গেছে। তখন ব্যবসায়িক বিভেদ তৈরি হয়। তারা একই এলাকার ও পূর্বপরিচিত ছিলেন। ফলে ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব থেকেই সোহাগ খুন হন।’

এদিকে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পটুয়াখালী থেকে রেজওয়ান নামে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে হত্যায় মোট ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে সোহাগ হত্যায় কোনো রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা নেই বলেও জানান তিনি।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, সোহাগকে হত্যার পর অভিযুক্তরা মব তৈরির চেষ্টা করে। পুলিশ বুঝতে পেরে সেই মব থেকেই মহিন ও রবিন নামের দুজনকে তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেপ্তার করে। অভিযুক্তদের রাজনৈতিক পরিচয় থাকতে পারে। তবে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা নেই।

উল্লেখ্য, গত ৯ জুলাই মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর ফটকের সামনে প্রকাশ্যে কংক্রিট বোল্ডার দিয়ে আঘাত করে সোহাগকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। পরদিন নিহতের বোন মঞ্জুয়ারা বেগম থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

আরও পড়ুন