জানুয়ারি ১৬, ২০২৫

বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারি, ২০২৫

পদ্মা-মেঘনায় ২২ দিন ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা নিষেধ

Rising Cumilla - HILSA
প্রতীকি ছবি/সংগৃহীত

দেশের ইলিশ মাছের নিরাপদ প্রজনন ও উৎপাদন বাড়াতে পদ্মা ও মেঘনা নদীতে ২২ দিন ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এ নিষেধাজ্ঞা শনিবার (১২ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে থেকে (৩ নভেম্বর) পর্যন্ত দেশের সব নদ-নদী ও সাগরে জারি থাকবে এ নিষেধাজ্ঞা।

এ সময় দেশব্যাপী ইলিশ পরিবহণ, ক্রয়-বিক্রয়, মজুত ও বিনিময় নিষিদ্ধ থাকবে। একই সঙ্গে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান বাস্তবায়ন করা হবে।

চাঁদপুরের মেঘনা নদী9র ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুর জেলার চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার এলাকায় নিষেধাজ্ঞার সময়ে কোনো জেলে নদীতে নামতে পারবেন না। নিষেধাজ্ঞা সময়ে ইলিশ মাছ আহরণ ও বিক্রি করলে এক বছর থেকে সর্বোচ্চ দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড বা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানাসহ উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারে।

এদিকে পদ্মা-মেঘনা পাড়ের অর্ধলক্ষাধিক জেলেরা জাল-নৌকা তীরে উঠিয়ে নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে পরিবার-পরিজনের ভরণ-পোষণ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে জেলেরা। সরকারিভাবে খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি আর্থিক সহায়তার দাবি জানান জেলেরা।

এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর উপজেলা হরিনাঘাট মেঘনা পাড়ের জেলে বাবুল ও লোকমান হোসেন বলেন, আমরা সরকারের নিষেধাজ্ঞা মানি। কিছু কিছু জেলে মানে না। ২২ দিন মাছ ধরতে পারবো না কিন্তু পরিবার নিয়ে কীভাবে দিন কাটে, সেই খবর কেউ রাখে না। আমাদের যে চাল দেয়, তা দিয়ে কিছুই হয় না। চালের সঙ্গে আনুষঙ্গিক জিনিস লাগে, সেই খরচ কীভাবে পাবো।

এ বিষয়ে চাঁদপুর নদীকেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. আবু কাউছার দিদার বলেন, বিগত বছরের মতো এবারো ডিম ছাড়াল অনুকূল পরিবেশ রয়েছে। আশা করছি বিগত বছরের ৫২.৪% স্পেন রেট ছিল, তা এই বছরেরও সমসাময়িক কিংবা বেশি হতে পারে। ইলিশের প্রাপ্যতা বৈরী আবার কারণে কম ছিল। যার কারণে জেলেরা আশানুরূপ ইলিশ পায়নি। আশা করছি- ইলিশের ২২ দিন বন্ধের পরপরই বিগত বছরের মত কাঙ্ক্ষিত ইলিশ পাবে।