বৃহস্পতিবার ৭ আগস্ট, ২০২৫

নোয়াখালী-৪ আসন থেকে দুটি ইউনিয়ন বাদ দেওয়ায় বিক্ষোভ, বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি

ছবি: প্রতিনিধি

নোয়াখালী-ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে সাংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাসের খসড়া প্রস্তাবনায় নোয়াখালী -৪ আসন থেকে অশ্বদিয়া ও নেয়াজপুর ইউনিয়নকে বাদ দেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল, স্মারক লিপি, মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ করেছে দুই ইউনিয়নের বাসিন্দারা।

এ সময় সমাবেশে বক্তাগণ সদর উপজেলার নেয়াজপুর ও অশ্বদিয়া ইউনিয়নকে আগের নোয়াখালী -৪ (সদর -সুবর্ণচর) আসনের সাথে যুক্ত করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দেন।

বুধবার (৬ আগস্ট) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত জেলা প্রশাসক কার্যালয় ও সদর উপজেলার অশ্বদিয়া গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের সামনে সোনাপুর -কবিরহাট সড়ক অবরোধ করে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থী ও সাধারণ লোকজন এ কমূসূচি পালন করে।

এ সময় সড়কে হাজার হাজার বিক্ষুদ্ধ জনতা বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। পরে নেয়াজপুর ইউনিয়নের বাসিন্দারা জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করে।

খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্ব সুধারাম থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে এলাকাবাসীর দাবির কথা উর্ধবতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে এমন আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জেলা জামায়াতের আমির ইসহাক খন্দকার, সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক সলিম উল্যাহ বাহার হিরণ,সদর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ভিপি জসিম, জেলা বিএনপির সদস্য আব্দুল মোতালেব আপেল, নেয়াজপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন বাবুল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন আলো, জেলা জাস্টিস ফর জুলাইয়ের সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন আরাফাত, অশ্বদিয়া নাগরিক ফোরামের আহ্বায়ক গোলাম মোস্তফা সেলিম, অশ্বদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি হাসান মাহমুদ তানসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন সায়েম,অশ্বদিয়া ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন রিয়েল, নোয়াখালী শহর জামায়াত নেতা সাইফুল ইসলাম প্রমূখ।

বক্তাগন বলেন, সাংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাসের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন “অখন্ড প্রশাসনিক ইউনিট” রক্ষাকে গুরুত্বপূর্ণ মানদন্ড হিসেবে দেখালেওনোয়াখালী ৪ আসন থেকে জেলা সদরের অশ্বদিয়া ও নেয়াজপুর ইউনিয়নকে বাদ দেওয়া হয়েছে এ মানদণ্ড না মেনেই।

আরও পড়ুন